গাইবান্ধায় বোরো মৌসুমে সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। এতে বিপাকে পড়ছে কৃষক। ডিজেল চালিত মেশিনে সেচ দিয়ে খরচ বেশি গুনতে হচ্ছে। কাঙ্খিত ফলন নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডঙ্গা ইউনিয়নে শতাধিক বিঘা জমির ধান আধা- পাকা ধান। কাটতে কমপক্ষে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে। এবার ধানের ফলনও হয়েছে ভালো। এর মধ্যেই পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সেচ পাম্পের কথিত অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে।
ধানের জমিতে পানি দিতে পারছেন না সেচ পাম্প মালিকরা। কৃষকদের দাবি, এই মূহুর্তে জমিতে পর্যাপ্ত পরিমান পানি ধরে রাখতে না পারলে ভালো ফলন হবে না।
সেচ পাম্প মালিকরা বলছেন, স্কিমের শেষ সময়ে বিদ্যুৎ অফিসের দাবি করা মোটা অংকের ঘুষের টাকা না দেওয়ায়, তাদের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
পাম্প মালিকদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। আর প্রশাসন বলছে ব্যবস্থা নেয়ার কথা।
ডিজেল চালিত মেশিনে সেচ দিয়ে আবাদ ঘরে তুলতে খরচ বেশী গুনতে হচ্ছে, অন্যদিকে কাঙ্খিত ফলন নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা। সংকট সমাধানের দাবি তাঁদের।