ভরা মৌসুমেও ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশের খরা। কাঙ্খিত ইলিশ না পাওয়ায়, ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে হতাশায় দিন পার করছে জেলেরা। চাহিদার তুলনায় মাছের সরবরাহ কম থাকায়, বেড়েছে দামও।
দেশের প্রায় ৩০ ভাগ ইলিশ আহরণ হয় নদী ও সাগর বেষ্টিত উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে। প্রতি মৌসুমেই জেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে উঠে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।
তবে এবার দৃশ্যপট ভিন্ন, কাঙ্খিত ইলিশের দেখা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ জেলেদের।
এদিকে, চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম হওয়ায়, আড়ৎ ও পাইকারি বাজারে আকাশ ছুঁয়েছে ইলিশের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকাসহ দেশের বড় বড় মাছের আড়তে মাছের দাম নির্ধারণ হওয়ায়, ঘাটগুলোতে দাম বাড়তি।
গত কয়েকদিনের ব্যবধানে ঘাটের পাইকারী মাছের আড়তগুলোতে আকার ভেদে মাছের দাম বেড়েছে, কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।
তবে, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, আগামী অভিযানের আগেই কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাবে, অর্জন হবে লক্ষ্যমাত্রা।
মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ি, গত বছর ভোলায় ইলিশ আহরণ হয়েছিলো ১ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন।