সরকার পতনের পর দেশের নানা স্থানে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যেই বহু ভুয়া পোস্ট ভারতে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপরে ব্যাপক অত্যাচার শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ফ্যাকট চেকার ও গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে এগুলো বেশিভাগই ভারতীয় অ্যাকাউন্ট।
ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা বেশ কয়েক দশকের। পরিস্থিতি এমন, প্রতিবেশি দেশগুলোর সরকারের সঙ্গে ভারতের ব্যাপক বন্ধুতা থাকলেও জনগণ তাঁদের অবিশ্বাস করে। ফলে ভারতের জনগণও এক ধনের অবিশ্বাস আছে প্রতিবেশি দেশগুলোর মানুষের প্রতি।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সে অনাস্থা আরও বেড়েছে। তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে দেশটির সামাজিক মাধ্যমেও। নানা ধরণের অপতথ্য ছড়িয়ে পরেছে সেখানে।
এক্স এর অনেক যাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট গুজবকে প্রকৃত খবর হিসেবে রিপোর্ট করছে। জাল খবর ভারতীয় মূলধারার মিডিয়াতেও দেখা যাচ্ছে। দেশটির ইউটিউব চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার এতে মূখ্য ভূমিকা রাখছে। আপস…
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে বলেছে যে কিছু স্থানীয় টিভি চ্যানেল যেভাবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন করছে তা স্পষ্টভাবে উস্কানিমূলক ও ভারতীয় প্রেস কাউন্সিলের নিয়মের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ প্রামাণিক সম্প্রতি একটি ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, কিছু সুবিধাবাদী লোক কয়েকটি স্থানীয় মন্দিরে হামলা করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, দিল্লির সরকারের সঙ্গে ঢাকার গত সরকারের ঘনিষ্ঠতা রাখার বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার দূরত্ব ঘোচাতে কাজ করবে। মানুষ যেন ভাবে ভারত ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
বাংলাদেশের ঘটনাগুলোকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার এই অপপ্রচার নিয়ে আলজাজিরা, রুমার স্ক্যানার, ডিসমিস ল্যাব সহ বেশ কয়টি ফেক্ট চেক সংস্থা বিভিন্ন প্রতিবেদন করচ্ছেন।