বাজারে ডিমের মূল্যবৃদ্ধি রোধে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চতুর্থ চালানে এলো আমদানি করা ২ লাখ ৩১ হাজার পিস মুরগির ডিম। এর আগে গত বছরের ৫ নভেম্বর প্রথম চালানে ৬১ হাজার ৯৫০টি মুরগির ডিম আমদানি করা হয়।এর দ্বিতীয় চালানে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আসে গত ৯ সেপ্টেম্বর। সরকারী ঘোষণার ৫০ লাখ ডিমের আজ চতুর্থ চালানে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার পিস মুরগীর ডিম।
আজ সোমবার ৭ই অক্টোবর সকালের দিকে বেনাপোল কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান ২ লাখ ৩১ হাজার পিস ডিম ভারত থেকে আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরীক্ষণ শেষ করে ডিমগুলো যত দ্রুত সম্ভব ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
জানা গেছে, আমদানি করা ১ হাজার ১০৪ প্যাকেজ ডিমের ইনভয়েস মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা ৭০ পয়সা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বাবদ এক টাকা ৮৩ পয়সা যোগ হবে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়াচ্ছে প্রায় সাড়ে ৭ টাকার মতো।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশান নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫০ লক্ষ ডিম আমদানির অনুমতি প্রদান করেছে। এই চালানে ২ হাজার ৩১ হাজার পিস ডিম আমদানি করেছে। এসব ডিম রফতানি করেছে ভারতের শ্রী লক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড় করার জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেছে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।