ভুয়া আর্থিক প্রতিবেদন ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করেছে বেশকিছু কোম্পানি। বাজে আইপিওর দৌরাত্মে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে আইনী দুর্বলতায় ব্যবস্থাও নিতে পারছে না কমিশন।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে গেল ১০ বছরে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করেছে ৮৪ কোম্পানি। এর মধ্যে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ৬৫টি এবং বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে তালিকাভুক্ত হয়েছে ১৯টি। তালিকাভুক্ত এসব কোম্পানির মধ্যে ২৩টি অবস্থা নাজুক পর্যায়।
পরিচালনা পর্ষদের পলায়ন, অস্তিত্ব হারানো, ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যের সয়লাবে বাজার থেকে হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করেছে কোম্পানিগুলো। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলেও কিছু কোম্পানির পর্ষদ ভেঙ্গে কোম্পানি চালুর চেষ্টা করেছে বিএসইসি।
তবে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অর্থ উত্তোলন করতে বেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ। মিথ্যা জমির মালিকানা দাবি, ভুল আর্থিক প্রতিবেদন এবং শেয়ার মানি ডিপোজিটে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। প্রতিরোধে তদন্ত কমিটি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
যদিও আইনী দুর্বলতার অজুহাত দিলো কমিশন।
গৎবাঁধা ডিউ-ডিলিজেন্স বাদ দিয়ে ইস্যু ম্যানেজারদের নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করার সুযোগ প্রদান করা হলে বাজে আইপিও আসার প্রবণতা কমে যাবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শেয়ারবাজারকে ভালো করতে প্রয়োজন ভালো আইপিও। সুনাম রয়েছে, কমপ্লায়েন্স পরিপালনকারী এমন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে আস্থা পাবেন বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে ভুয়া আইপিও বন্ধ করতে বিএসইসির আইনেও যুগপোযোগী পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
টিএ/