বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর ভোলায় স্বাভাবিক হয়েছে পুলিশি কার্যক্রম। তবে রয়েছে জনবল সংকট ও নানা প্রতিবন্ধকতা। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলছে স্থানীয় পুলিশ।
শান্তিপূর্ণ দ্বীপ জেলা ভোলায় ৪ঠা আগস্টের সহিংসতায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। সাময়িক কর্মবিরতির পর নতুন উদ্যোমে পুনরায় কাজে ফিরেছে তারা। তবে সেবা প্রদানের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথাও তুলে ধরেছেন কেউ কেউ।
এদিকে থানার বর্তমান কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে সাধারণ মানুষ বলছে,নিরাপত্তার ক্ষেত্র একমাত্র ভরসা হলো পুলিশ। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে যেন আইনগত ব্যবস্থা নেন পুলিশ। নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রান না হয় প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
জেলায় প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের বসবাস। এর মধ্যে ৭ উপজেলায় ১০ টি থানা, ১০ টি তদন্ত কেন্দ্র ও ১ টি পুলিশ ফাঁড়ী রয়েছে। এতো মানুষের বিপরীতে পুরো জেলায় পুলিশের সংখ্যা সংখ্যা ১ হাজার ৩২০ জন। অন্যদিকে গত এক মাসে এ জেলায় মোট ১৭৯ টি মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১৭২ টি।
জনবল সংকট ও লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি পেলে থানার কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলে মনে করছেন এ কর্মকর্তা।
ভোলার মানুষের যে কাঙ্ক্ষিত সেবা তা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার।
দলমত ও রাজনৈতিক প্রভাবের উর্ধ্বে থেকে নিরপেক্ষ জনগনের বন্ধু হয়ে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে কাজ করবে বাংলাদেশ পুলিশ এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।