ন্যাশনাল ব্যাংক তসরুপের অভিযোগ উঠেছে আলোচিত-সমালোচিত ব্যবসায়ি নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, ব্যাংকটি থেকে প্রায় এক হাজার ৮শ কোটি টাকা বের করে নিয়েছেন তিনি। যখন আমানতকারীর অর্থ ফেরত দিতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যাংকটি, তখন ব্যাংকের কর্মীরা, ঋণ আদায়ে বুধবার অবস্থান নেয় নাসা গ্রুপের সামনে।
দেশের প্রথম প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর একটি ন্যাশনাল ব্যাংক। কার্যক্রম শুরু করে ১৯৮৩ সালে। ২০০৯ সালে ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেয় প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের পরিবার। আর খারাপ হতে থাকে ব্যাংকটির অবস্থা। নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে বের করে নেয় সিকদার পরিবার।
সঙ্গে আতাতের ঋণ তৈরি করে বেশ কিছু শিল্প গোষ্ঠীর সঙ্গে। যোগসাজোশের সেই কায়দায়, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ব্যাংকটি থেকে এক হাজার ৭৪০ কোটি টাকা লোপাট করেছেন। ঋণের পুরোটাই এখন খেলাপি, যা আদায়ে নাসা গ্রুপের সামনে ব্যাংকের কর্মীরা বুধবার দুপুরে অবস্থান নেন।
নাসা গ্রুপের উদ্যোক্তা মজুমদার আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে নিয়েছেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি এখন জেল হাজতে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, ৫টি প্রতিষ্ঠানের নামে, গুলশাল শাখা থেকে ঋণগুলো তৈরি হয়।
ব্যাংকটি এখন আমানতকারীর অর্থ ফেরত দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সংকট সামাল দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিচ্ছে তারল্য সহায়তা। এমনকি টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকটিকে দিচ্ছে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। অথচ, প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা। চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপসহ আরও বেশ শিল্পগোষ্ঠীর হাতে বিপুল অর্থ অনাদায়ী।