মাদারীপুরে ৮ মের সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে উত্যপ্ত মাঠ। মাদারীপুর-০২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বিরুদ্ধে ১৫টি অভিযোগ তুলেছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান। অভিযোগ এরইমধ্যে রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত দিয়েও কোন সুরাহা না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এই প্রার্থী। মাদারীপুর শহরের ডিসিব্রিজ এলাকার নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিক খান অভিযোগ করেন, আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতিকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের ছেলে, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আসিবুর রহমান আসিব খান। তার একমাত্র প্রতিন্দন্দ্বী আমি। এই নির্বাচনকে ঘিরে ছেলের পক্ষে কাজ শুরু করেন শাজাহান খান। এরমধ্যে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো, প্রশাসনের উপর চাপ প্রয়োগ, কালো টাকা ছড়ানোর কারণে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আইনে অনুযায়ী, স্থানীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না। কিন্তু সেই আইনকেও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন সংসদ সদস্য। এমন ১৫টি অভিযোগ তুলে রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত দিয়েও কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় ৮ মে হতে যাওয়া নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের দাবি জানান শফিক খান। এছাড়া শাজাহান খানকে এলাকা ত্যাগের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শাজাহান খান বলেন, আমি মাদারীপুরে থাকলেও আমার ছেলে আসিবুর রহমান আসিব খানের নির্বাচনী কোন প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছি না। আমার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি মাদারীপুরের নিজবাসায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের আলোচনা করি, তবে এটা নির্বাচনী কোন বিষয় না।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর উপজেলার পরিষদ নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমম্মেদ আলী বলেন, মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খানের অভিযোগগুলো আমলে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শফিক খানের অভিযোগ সবগুলোই গ্রহণ করা হয়েছে। সেই অভিযোগ নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ শুরু করেছেন।
রাকিব হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধি।