বাংলাদেশ চলচ্চিত্র জগতের স্বনামধন্য পরিচালক কাজী হায়াৎ। তার ছেলে চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। ‘ইতিহাস’ সিনেমা দিয়ে দর্শকদের কাছে আলোচনায় আসেন। এবারের ঈদে মুক্তি পায় মারুফ অভিনীত ‘গ্রিন কার্ড’ সিনেমা।
৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ের সিনেমাটি মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহ থেকে ১ লাখ টাকাও আয় করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন মারুফ। এমন পরিস্থিতিতে হতাশা জানিয়ে তিনি বলেছেন,‘এখন যতগুলো সিনেমা হল আছে, আমার ধারণা দুই বছরের মধ্যে প্রায় সব হলই বন্ধ হয়ে যাবে। হল না থাকায় একটা সময় বাংলা সিনেমার দর্শকও থাকবে না, কমবে বাংলা সিনেমাও। ঘরে বসে বিভিন্ন দেশের সিনেমা দেখবেন মানুষ।’
ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে ১১টি ছবি। গ্রিন কার্ড’ মাল্টিপ্লেক্সে মাত্র দুটি শো পেয়েছে। এছাড়া টাঙ্গাইল ও সখীপুরে মিলনায়তন ভাড়া করে ছবিটি প্রদর্শিত হয়েছে। মুক্তির তিন দিনের মাথায় ছবিটি মাল্টিপ্লেক্স থেকে নেমেও যায়। ছবিটির পরিচালক কাজী হায়াৎ ও রওশন আরা নিপা। যুক্তরাষ্ট্র বসে বেশ সময় নিয়েই ‘গ্রিন কার্ড’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছিলেন মারুফ। ঈদ উৎসবে ছবিটি মুক্তি দিতে বড় প্রত্যাশা নিয়ে পরিবারসহ দেশে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু ছবিটি মুক্তির সময় হলসংকটে পড়েন।
মারুফ বলেন, ‘মাল্টিপ্লেক্সে যে কটা শো পেয়েছিলাম, বুঝিনি দর্শক হবে না। মাত্র ১০/১২ জন মিলে সিনেমা দেখলে তো প্রযোজকের পেট ভরবে না। এমন অবস্থা দেখে আমি নিজেই সিনেপ্লেক্সে ফোন করে আমার ছবি নামিয়ে দিতে বলেছি। কারণ, এমনিতেই মাল্টিপ্লেক্সে সিস্টেম জটিলতা আছে। আমার সিনেমার শোয়ের হলটি দর্শকে পরিপূর্ণ থাকলে কমিশন হিসাবে মাত্র ১৬ হাজার টাকা পাব আমি। প্রযোজকের সঙ্গে হলমালিকের টিকিটের টাকার ভাগাভাগির এই জটিলতা চলতে থাকলে, একটা সময় সিনেমা কেউ বানাবে না, সিনেমা থাকবে না।’
ওটিটি, টেলিভিশনে বিক্রির পরও এত বিনিয়োগ ওঠার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না মারুফ। অনেকটাই হতাশ চিত্রনায়ক মারুফ বলেন, ‘আর বাংলা ছবি নির্মাণ করব না। এখন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে বিদেশি সিনেমার বানানোর চেষ্টা করব।’ ৩ মে পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার কথা আছে তাঁর।