এবার একীভূত হতে তড়িঘড়ি সমঝোতা চুক্তি করলো- রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএল। চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানটিও হয়েছে গোপনীতায়। বিডিবিএল কর্তৃপক্ষ বলছে, জোরপূর্বক মার্জারের হুমকি থাকায়, চুক্তি করতে এসেছে তারা। অবশ্য, তাড়াহুড়ার অভিযোগ মানতে নারাজ সোনালী ব্যাংক।
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস, অফিস শুরু হতে ৩০ মিনিট বাকি। সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে এলেন গর্ভনর আব্দুর রউফ তালুকদার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আঙিনায় বাড়তি সতর্কতা, কড়াকড়ি। কারণও স্পষ্ট, গোপনীয়তায় রাখতে বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংক ও বিডিবিএল মার্জার অনুষ্ঠানের খবর।
ঠিক ১০টার দিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করেন সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডি। বিডিবিএল চেয়ারম্যান-এমডিকে আসতে দেখা যায় পৌনে ১১টায়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে, ১২টার দিকে তারা বেরিয়ে আসেন।
ব্যাংকটি চার গুরুত্বপূর্ণ সূচকের তিনটিতে উন্নতির পথে। বেসরকারি খাতের নাজুক কয়েকটি ব্যাংক বাইরে থাকলেও, কেন বিডিবিএল মার্জারের আওতায়, তারও উত্তর দিলেন তিনি।
সমঝোতা করতে তাড়াহুড়ো কেন, এমন প্রশ্ন ছিলো উপস্থিত সাংবাদিকদের। সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অবশ্য, তাড়াহুড়ো বা গোপনীয়তা মানতে নারাজ।
দুর্বল ও সবল ব্যাংক একীভূত করার চর্চা বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত হলেও, দেশে এর প্রয়োগ নিয়ে কেন প্রশ্ন উঠছে, তার জবাব দিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের এমডি।
দুই পক্ষই অবশ্য বলছে, আমানতকারীদের স্বার্থ নষ্ট হবে না, আতঙ্কিত হওয়ারও কারণ নেই। পুরো মার্জার প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে অন্তত দুই বছর।