পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে, মুরগির দাম বেড়েছে, তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এ ছাড়া মিনিকেট চালের দামেও কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বৃদ্ধি দেখা গেছে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও কারওয়ান বাজারে ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের আগে মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে। কারণ, পাইকারি বাজারে মুরগি কম ছাড়ছেন খামারিরা, ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে দাম বাড়ছে।

এদিন বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়,
যা আগের সপ্তাহে ১৯০-২০০ টাকার মধ্যে ছিল। তবে সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমেছে, এখন প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকায়, যা আগে ছিল ২৭০-৩০০ টাকা। দেশি মুরগির দাম ৬৫০-৬৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা, এবং লাল লেয়ার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের দামও জাতভেদে ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দাম বাড়লেও, গরু ও খাসির মাংসের দাম বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকায় এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১,২৫০ টাকায়।
এদিকে, কিছু সবজি যেমন লেবু, বেগুন ও শসার দাম এখনও চড়া রয়েছে। রোজার শুরুতে লেবু, বেগুন ও শসার দাম বেড়ে গিয়েছিল, তবে পরে কিছুটা কমলেও এখনো সেই দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। বর্তমানে এক কেজি বেগুন ৬০-১০০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ২০-২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে আলু ও পেঁয়াজের দাম কম রয়েছে, বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার এখনও অস্থির রয়েছে। চাষের রুই (দুই কেজি আকার) ৩৫০-৩৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, শিং ৪৫০ টাকা এবং চিংড়ি ৬৫০-৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, ইলিশের দাম ৮০০-১,২০০ টাকা কেজি পর্যন্ত উঠেছে।
মিনিকেট চালের দাম গত দুই সপ্তাহে কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে খুচরা দোকানে মিনিকেট চালের দাম ৮৫-৮৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, মিনিকেট চালের মজুত কমে যাওয়ার কারণে সরবরাহ কমে গেছে, ফলে দাম বেড়েছে। তবে, মাঝারি ও মোটা চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজারের এসব দামের ওঠানামার মধ্যে, রোজাদারদের জন্য কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি হলেও বেশিরভাগ পণ্য সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাচ্ছে।
পরুনঃ ঈদে সংবাদ কর্মীদের ছুটি বাড়ানোর দাবি সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরামের
দেখুনঃ স্বজনদের ছেড়ে কেমন কাটছে প্রবাসীদের ঈদ?
ইম/