ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলার আংগারগাড়া গ্রামে বাড়ী। নাম মোঃ নসিব মিয়া।ফুটবল যার প্রাণ। নসিব হতে চায় বাংলার মেসি। সেও একদিন বিশ্বকাপ ফুটবল জয় করে বাংলার ঘরে আনতে চায়।
নসিব চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র। বয়স আনুমানিক ৯ বছর। এই বয়সেই রপ্ত করেছে ফুটবল খেলার অসাধারণ কৌশল। প্রায় ৫ মিনিট সে শুন্যে ভাসিয়ে রাখতে পারে বল। বাঁকানো শটে গোল করতে পারে। সাইকেল শট দিয়ে মন জয় করতে পারে সবার। একাধিক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বল জড়াতে পারে জালে।
নসিবের রক্তে মাংসে মিশে আছে ফুটবল। বল ছাড়া সে কোনো কিছুই ভাবতে পারে না। স্কুল থেকে এসে বল নিয়ে মাঠে ছুটে যায় । শুরু হয় তার অনুশীলন। ওস্তাদ তার বাবা। বাবার পেশা শিক্ষকতা। তাদের ইচ্ছা একদিন নসিব জাতীয় ফুটবল দলে খেলবে।
নসিব বলে, ‘আমি মেসির মতো খেলোয়াড় হতে চাই। জাতীয় ফুটবল দলে খেলতে চাই একদিন। বিশ্বকাপ জয় করতে চাই।’
পল্লি চিকিৎসক লালন মিয়া বলেন, গ্রামে এত সুন্দর প্রতিভা আছে আমার বিশ্বাস হয়নি। এত সুন্দর ফুটবল খেলে এই ছোট্ট নসিব। আমি মুগ্ধ তার খেলা দেখে। ওর সাথে আরও অনেক ছেলারাই ভালো খেলে। আমি আশাবাদী যদি এদের ভালো কোন ক্লাবে প্রশিক্ষণ দিলে দেশের ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবলও এগিয়ে যাবে বিশ্বের মানচিত্রে।
নসিবের বাবা আবুল কাশেম বলেন, আমি আমার ছেলেকে নিয়ে অনেক আশাবাদী সে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে আনবে। আমার ছেলের মত আরও অনেক ছেলেরাও ভালো খেলে। আমি বিকেএসপির সহযোগিতা কামনা করছি। আমি সরকারের কাছে আবেদন করছি এদের যেনো প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের সম্পদে পরিণ করা হয়। আমি মনে করি এরাই একদিন বাংলাদেশে বিশ্বকাপ এনে দিবে।