উত্তপ্ত রাজধানীর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ। এরইমধ্যে ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে ভাঙচুর চালিয়েছেন বিক্ষুব্ধ দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে ডিএমআরসি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ঘণ্টাব্যাপী এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ডিএমআরসি কলেজের ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।
এসময় ডিএমআরসি কলেজের গেট ভাঙচুর করে ভেতরে ঢুকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ার, কম্পিউটার-ল্যাপটপ-ডকুমেন্টসহ মূল্যবান অসংখ্য জিনিস লুটপাট করে নিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের।
এর আগে সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেলা ১০টার দিকে তারা লাঠিসোটা হাতে বের হন কবি নজরুল সরকারি কলেজের দিকে। কথা ছিল সেখান থেকে দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা এক হয়ে রওনা দেবেন ডিএমআরসি কলেজের দিকে।
তবে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার শঙ্কায় কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ সবাইকে শান্ত হয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ঘোষণা দেন। এসময় কবি নজরুলের শিক্ষার্থীদের একাংশ শান্ত হলেও বাকিরা রওনা দেন ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের উদ্দেশে।
তবে জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের উদ্দেশে এক সাথে রওনা হন।
এদিকে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে তেমন কোনো ভূমিকায় দেখা যায়নি বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষজনের।
মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা গতকাল যা করেছিলে
ভুল চিকিৎসায় রাজধানীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুর ঘটনার বিচারের দাবিতে মোল্লা কলেজসহ ঢাকার ৩৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন। দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে সাংবাদিকসহ ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ থেকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অভিজিতের মৃত্যুর অভিযোগ এনে বিচারের দাবিতে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সামনে এসে জড়ো হন। এরই মধ্যে হাসপাতালের গেট ও নেম প্লেট ভাঙচুর শুরু করেন কিছু শিক্ষার্থী। হাসপাতালের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে জানালার কাচ ও একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়।
কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের দিকে এগিয়ে যান। পথে পুলিশ বাধা দিলে সেটি উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যান তারা। পরে সোহরাওয়ার্দী কলেজে পৌঁছে ১৭টি ডিপার্টমেন্ট, শিক্ষকদের কক্ষ, এক শিক্ষকের প্রাইভেটকার, চারটি মোটরসাইকেল, কলেজের নেম প্লেট ভাঙচুর করেন।
দেখুন: ঢাকা কলেজ এবং সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থান