জগতের আসুরিক শক্তি দূর করে ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে মানুষে মানুষে সৃষ্টি হবে ভাতৃত্ব বোধ আর পৃথিবীতে আসবে শান্তি এই প্রত্যাশায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেবী দূর্গার মহা অষ্ঠমী ও কুমারী পূজা।
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার রঘুনাথপুর আনন্দময়ী কালী বাড়িতে বৃহস্পিতবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে দেবীর মহা অষ্ঠমী তিথিতে দেবী দূর্গার মালিনি রুপে পূজা করা হয় ৭ বছরের কুমারী তন্নী চক্রবর্তী অন্নাকে।
শ্রীমঙ্গলের বনগাও গ্রামের নুপুর চক্রবর্ত্তী ও অনুরাধা চক্রবর্তীর মেয়ে তন্নী। সে জামসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
সনাতন ধর্মে প্রকৃৃতি পূজার প্রচলণ রয়েছে। সনাতন শাস্ত্রমতে মুনি ঋষিরা কুমারী মেয়েকে প্রকৃৃতির সমান মনে করতেন এবং প্রকৃৃতি থেকেই এই জীবজগতের সৃষ্টি বলে মানতেন, তাই দেবী দূর্গাকে কুমারী রূপে পূজা করা হয়। কুমারী পূজা দেখতে রঘুনাথপুর আনন্দময়ী কালী বাড়িতে সিলেট বিভাগের হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।
কুমারী পূজা দেখতে আসা একাদিক দর্শনার্থীরা জানান, প্রতি বছর এখানে তারা কুমারী পূজা দেখতে ছুঁটে আসেন কেননা সবার মঙ্গলের জন্যই এই পূজা করা হয়।
পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরুনোদয় ভট্টাচার্য অপু জানান, এখানে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে হাজারও দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে এই কুমারী পুজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আর শ্রীমঙ্গলের পুরোহিত অসিত ভট্টাচার্য জানান মূলত নারী শক্তিকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই দূর্গাপুজার পাশাপাশি এই কুমারী পুজা করা হয়।
প্রতি বছরের মতো এবছরও হাজার দর্শনার্থীর ভীড়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ২৭তম কুমারী পূজা শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হয়। এবারের কুমারী পূজায় পুরোহিত্য করেন অসিত ভট্টাচার্য ও কমলাপদ চক্রবর্তী।
পূজা মন্ডপ আর দর্শনার্থীর জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তৎপর ছিল পুলিশ।