চলতি এপ্রিল মাস জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়েছে যশোর। আজ যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ১৯৯৫ সালের পর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। খুলনা আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এতদিন দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। মঙ্গলবার তা ভেঙে গেল। তবে আজও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি।
আর স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ।
৩০ এপ্রিল আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, সারা দেশে হিট স্ট্রোকে গত এক সপ্তাহে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে চুয়াডাঙ্গা, খুলনা, হবিগঞ্জ, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট ও বান্দরবানে। প্রতিদিনই বিভিন্ন জেলা থেকে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসছে।
চুয়াডাঙ্গায় ২৯ এপ্রিল চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে যশোর অঞ্চলও। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ডের দিনে যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মেহেরপুরের বাতাসও উত্তপ্ত। তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছেছে। জেলায় গত ১৪ দিন ধরে অতিবাহিত হচ্ছে তীব্র তাপদাহ। হাসপাতালে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
গরমে অতিষ্ঠ মৌলভিবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের জনজীবন। মাত্রাতিরিক্ত গরমে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বৃদ্ধ এবং শিশুরা ডায়রিয়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তীব্র দাবদাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়ছে হিট স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা।