রাজধানীতে পরিস্থিতি বুঝে গাড়ি চালান না অনেক চালক। গতি নির্দেশক সাইনবোর্ড ও সড়কে লেখা থাকলেও অনেকেই মানছেন না গতি সীমার এ নিয়ম। গতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি ইতিবাচক ভাবে দেখলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নিয়ম মানানো কঠিন। কারিগরি দিক বিবেচনা না নিয়েই করা হয়েছে বিধান।
খালি চোখে দেখে বলা কঠিন কোন যানবাহনে গতি কত। তবে আপাতদৃষ্টিতে অনুমান করা যায় অনেক চালক ই মানছেন না গতি সীমা। ২০২৩ সালে বুয়েটের এক গবেষণায় বলা হয়, ঢাকার শহরে পিক আওয়ারে যানবাহনের ঘন্টায় গড় গতি ৪.৮ কিলোমিটার। তাই প্রায় দেখা যায় রাস্তা ফাঁকা পেলেই বাহনটি তে সর্বোচ্চ গতি তোলেন চালক।
বিআরটিএ ঢাকার শহরে বাইকের জন্য সড়কে বেধে দিয়েছে ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার। প্রাইভেট কার আর বাসের ক্ষেত্রে তা ৪০ কিলোমিটার। তবে গতি সীমার এ বিধান কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সড়কে গতির ঝড় তুলছেন চালকরা।
তবে সড়কের অসুখ নিরাময়ে গতি রোধের পাশাপাশি দরকার পরিবহন বিভাগের আধুনিকায়ন বলছেন সাধারণ মানুষ।
আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন কারিগরি দিক ও শহরের অবকাঠামো বিবেচনা না করে করা হয়েছে গতি সীমার বিধান। যা বাস্তবে মানা কঠিন।
তবে বেধে দেয়া গতি সীমার সুফল পেতে হলে সড়কের ধারণক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি,কমাতে হবে ছোট গাড়ির আধিক্য।
মহাসড়কে গতি পরিমাপের জন্য হাইওয়ে পুলিশের কাছে যন্ত্র থাকলেও ঢাকার শহর সহ অন্য কোন শহরে ট্রাফিক পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কাছে নেই গতি পরিমাপক যন্ত্র।
টিএ/