নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েও বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানোর জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি সমস্যার কারণে বেড়েছে লোডশেডিং। গতকাল সোমবার গড়ে দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং দিতে হয়েছে।
প্রায় তিন দিন ধরে এই লোডশেডিং-এর মাত্রা বাড়ছে। নাগরিক টিভির স্থানী প্রতিনিধিরা জানান, ঢাকার বাইরে কোনো কোনো এলাকায় গ্রামাঞ্চলে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। যদিও দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনসক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার ৭৯১ মেগাওয়াট। চাহিদা এখন ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কম।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সূত্র বলছে,সামিটের মালিকানাধীন একটি টার্মিনাল গত তিন মাস ধরে বন্ধ। এতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ছে না। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে এক হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন কমেছে। অন্যদিকে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ কমেছে ৫০০ মেগাওয়াট। তাই ঘাটতি পূরণে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
এদিকে বিদ্যুৎ বিক্রয় বাবদ পাওনা অর্থ চেয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, দ্রুত ৮০ কোটি ডলারের বকেয়া পরিশোধের জন্য চিঠিতে ড. ইউনূসের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভারতীয় এই ব্যবসায়ী।
চিঠিতে গৌতম আদানি বলেন যে, বাংলাদেশের কাছ থেকে আমরা যে ৮০ কোটি ডলার পাই, সেই অর্থ দ্রুত পরিশোধ করার জন্য হস্তক্ষেপ করতে আপনাকে অনুরোধ করছি।’
বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ পাওনা নিয়মিত ভিত্তিতে পরিশোধ করার জন্যও গৌতম চিঠিতে অনুরোধ করেছেন বলেও ভারতীয় গণমাধ্যম উল্লেখ করে।
ঝাড়খান্ডের গড্ডায় অবস্থিত ১ হাজার ৬ শ’ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। একটি নির্দিষ্ট সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে গত জুন থেকে সবেমাত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
ভারতীয় এই শিল্পপতি আরও বলেন, তাঁর কোম্পানি রূপচাঁদা, মেইজান ও ফরচুনের মতো জনপ্রিয় ভোজ্যতেল ও উন্নত মানের চালের ব্র্যান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তায় ভূমিকা রাখছে।