অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদ ছেড়েছেন বলে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিতে থাকেন অনেকেই।
ছড়িয়ে পড়া ওই গুজব নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার বিকালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, শুনলাম আজ রাতে আসিফ মাহমুদের গায়ে হলুদ, সারজিস আলম এর বিয়ে আর নাহিদ ইসলাম এর মেঝো ছেলের সুন্নতে খৎনা।
এর আগে ছড়িয়ে পড়া ওই গুজব নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘শুধু চেয়ারই না, প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশ ছাড়লেন বাকি উপদেষ্টারাও। সোর্স : চালাইদেন।’
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অবস্থান করা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। ২৬ শেষ করে ২৭ বছরে পা দিয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেই একটু অন্যরকম প্রশ্ন অর্থাৎ বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন এক সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়। তিনি জানান, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা আর পরিবার যখন চাইবে তখনই হয়তো হবে।
‘জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে সৃষ্টিকর্তার হাতে এমনটাই বললেন সারজিস। তাছাড়া তিনি যোগ করেন, অনেকে আমার বিয়ে নিয়ে ছোট ছোট রিলস বানাচ্ছেন। এগুলো হয়তো মজা করে করছেন। তবে এসবে আমার কোনো সমস্যা নেই। অসত্য জিনিস আমার আব্বু আম্মু দেখেও মজা পায়।’
কখনও প্রেমে জড়িয়েছেন কিনা? এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘যদিও এরকম কোনো সম্পর্ক থাকে কারও তাহলে দুজনের বোঝাপড়ার জায়গাটা থাকা উচিত। থাকতে হবে প্রাইভেসির জায়গাটিও।’
এখনকার ট্রেন্ড নিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে চাইলেই সম্পর্কে জড়ানো। আবার ইচ্ছা না হলে সেখান থেকে বের হয়ে আসা। ইমোশনাল এটাচমেন্ট কমে যাওয়া। আমি আসলে এরকম কিছু প্রত্যাশা করি না।’
সারজিস আলমের জন্ম পঞ্চগড়ে, ১৯৯৮ সালের ২ জুলাই। তিনি বিএএফ শাহীন কলেজ ঢাকা থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর ২০১৭ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে অমর একুশে হল সংসদে প্যানেল থেকে সদস্য পদে জয়লাভ করেছিলেন। তাছাড়া তিনি নানা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিতার্কিক হিসেবেও অংশ নেন।