সাত-আট ঘন্টা ঘুমের পরও সকালে বিছানা ছাড়তে মন চায় না। মনে হয় পাশে ফিরে আবার ঘুমাই। অথবা দুপুরে খাওয়ার পর কোথা থেকে যেন রাজ্যের ঘুম নেমে আসে চোখে। এরকম ক্লান্তি লাগলে কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
সাধারণভাবে বলা হয়- সাত আট ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। তবে এর সাথে ভালো মানের ঘুমেরও প্রয়োজন রয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের সাথে গভীর ঘুম না হলে শরীর ও মস্তিষ্ক পুরোপুরি বিশ্রাম পায় না। হার্ভার্ড হেল্থ’য়ের তথ্যানুসারে- গভীর ঘুম বা ‘স্লো ওয়েভ স্লিপ’ দেহের শক্তির মাত্রা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। তাই ঘুমের মান উন্নত করতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমতে যাওয়া এবং ওঠার অভ্যাস করতে হবে।
খাওয়া দাওয়া হচ্ছে ঠিকই। তবে খাবার থেকে প্রধান পুষ্টি উপাদানগুলো না মিললে শরীর ক্লান্ত লাগতে পারে। খাবার থেকে দেহ সাধারণভাবে যেসব পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে সেগুলো হল- কার্বোহাইড্রেইটস, প্রোটিন ও চর্বি। এগুলো থেকেই শরীর শক্তি পায়, যা ক্যালরি হিসেবে গণনা করা হয়। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারলিনার পুষ্টিবিদ জেসমিন ওয়েস্টব্রুকস বলেন, “শক্তি ধরে রাখতে বিভিন্ন ধরনের খাবারের সংমিশ্রণ থাকতে হবে। যেমন- সবজি, পূর্ণ শষ্য, চর্বিহীন মাংস, স্বাস্থ্যকর চর্বি- যেমন বাদাম ও অলিভ অয়েল।”
একেকজনের খাদ্যাভ্যাস একেকরকম। কেউ তিন-চার ঘণ্টা পর খায়। কেউ আবার কিছুক্ষণ পরপর নাস্তা করে। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে দুপুরে ভারী খাবার খাওয়া মানেই দেহকে ক্লান্ত করে ফেলা। ওয়েস্টব্রুকস বলেন, “বেশিমাত্রায় খাওয়ার কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ যেমন বেড়ে যায়, তেমনি দ্রুত কমেও আসে। ফলে দেহে অবসন্নভাব তৈরি হয়।”
এছাড়া ভাজাপোড়া বা ফাস্টফুড, অতিরিক্ত কফি পান এবং আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়ার কারণেও দেহে শক্তির অভাব দেখা দেয়।
শক্তির মাত্রা ধরে রাখার প্রধান চাবিকাঠি হল দেহকে আর্দ্র রাখা। আর পানি দেহের কোণায় কোণায় পুষ্টি পৌঁছে দিতে সাহায্য করে। তাই পানিশূন্যতা রোধে পর্যাপ্ত পানি পানের অভ্যাস গড়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবহার না করা অতিরিক্ত উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে।