35 C
Dhaka
বুধবার, এপ্রিল ৯, ২০২৫

শান্তিপূর্ণ ঈদ উদযাপনে সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

নীলফামারীতে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ঈদের পরেও সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ টহল ও চেকপোষ্ট কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

আজ ৩ এপ্রিল ঈদের পরের দিনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনার পাশাপাশি নীলফামারী সদরের উত্তরা ইপিজেড, বড় বাজার, চৌরঙ্গীর মোড় ও নীলফামারী বাস টার্মিনাল এবং সৈয়দপুর শুটকির মোড় ও পাঁচমাথা মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সাধারণ জনগণের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে এবং আইন শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ড রোধ করতে এ সব চেকপোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে।

নীলফামারীতে সেনাবাহিনীর লেঃ নাফি আবরার রহমান ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোমেনুল ইসলাম এবং সৈয়দপুরে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তফা মজুমদারের নেতৃত্বে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

এ সময় নীলফামারীর বড় বাজার মোড়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) প্রশান্ত রায় ও সৈয়দপুর পয়েন্টে এসআই সুজন উপস্থিত ছিলেন।

সেনাবাহিনীর লেঃ নাফি আবরার রহমান জানান, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে নীলফামারীতে সাধারণ জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঈদের পরও নিরলস ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

‘যৌথ বাহিনীর চেকপোষ্ট পরিচালনার মুল উদ্দেশ্য হলো সাধারণ জনগণের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত এবং আইন শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ড রোধ করা।

সেনাবাহিনী সুত্র জানায়, গত ২মার্চ থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিভিন্ন ধরনের চেকপোষ্ট ও তল্লাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ পর্যন্ত দুই উপজেলায় ২৬২ টি মামলায় ৮লাখ ৬৩হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এরমধ্যে নীলফামারীতে ১৫২টি মামলায় ৪লাখ ৯৭হাজার ৬’শ টাকা এবং সৈয়দপুরে ১১০টি মামলায় ৩লাখ ৬৫হাজার ৯’শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

চেকপোষ্টের মাধ্যমে লাইসেন্স ও হেলমেট বিহীন মোটর সাইকেল ও মাইক্রোবাসে একাধিক আরোহী থাকায় তাদেরকে সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও বাস, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে তল্লাসীসহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাসী করা হয়।

পড়ুন : নীলফামারীতে বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে ১৪৪ ধারা জারি

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন