18 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ মার্তিনেজ

বিতর্ক ও বীরত্ব যেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজের হাত ধরাধরি করে চলে। টাইব্রেকারে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে গোল রুখে দিয়ে যেমন আলোচনায় আসেন, তেমনি প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েও হন সংবাদের শিরোনাম। সেই মার্তিনেজ আবারও আলোচনায় এলেন নেতিবাচক কারণে।আপত্তিকর আচরণ ও ফিফার ফেয়ার প্লে নীতি ভাঙার কারণে তাকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফার শৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটি।

এ কারণে আগামী ১০ অক্টোবর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে এবং ১৫ অক্টোবর বলিভিয়ার বিপক্ষে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ মিস করবেন মার্তিনেজ। জানা গেছে, আলাদা দুটি ঘটনার কারণে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে মার্তিনেজকে। বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের প্রথম শৃঙ্খলাভঙ্গের ঘটনাটি ঘটেছিল ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয় পর্বে চিলির বিপক্ষে জেতা ম্যাচে।

সেদিন কোপা আমেরিকার রেপ্লিকা ট্রফি নিয়ে অশালীনভাবে উদযাপনে অঙ্গভঙ্গি করেন মার্তিনেজ। একই ধরনের উদযাপন তিনি করেছিলেন ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ জয়ের পরও। তবে এবারের উদযাপনে মার্তিনেজের আচরণবিধি ভাঙার প্রমাণ পেয়েছে ফিফা, যার ফলাফলস্বরূপ মিলেছে এই নিষেধাজ্ঞা।মার্তিনেজ শৃঙ্খলাভঙ্গের দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটিয়েছেন ১০ সেপ্টেম্বর কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। সেদিন ম্যাচ হারার পর ক্যামেরা অপারেটরের সরঞ্জামে ধাক্কা দেন।

পরবর্তী সময়ে জনি জ্যাকসন নামের সেই অপারেটর কলম্বিয়ান সংবাদমাধ্যমে জানান, তিনি মার্তিনেজের হাতে ‘লাঞ্ছিত’ হয়েছেন এবং এ ঘটনায় তিনি ‘খুবই ক্ষুব্ধ’।এদিকে মার্তিনেজের নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় কথা বলেছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)। ফিফার শাস্তি নিশ্চিত হওয়ার আগে খেলোয়াড় ও অ্যাসোসিয়েশন নিজেদের পক্ষ তুলে ধরেছিল বলে জানিয়েছে তারা।

এক বিবৃতিতে এএফএ জানিয়েছে, ‘এটি উল্লেখ করা উচিত যে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ফিফার শৃঙ্খলা কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তের সঙ্গে পুরোপুরি ভিন্নমত প্রকাশ করে।’ ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পয়েন্ট তালিকায় বর্তমানে সবার ওপরে আছে আর্জেন্টিনা। ৮ ম্যাচে ৬ জয় ও ২ ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে তারা। সমান ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা কলম্বিয়ার পয়েন্ট ১৬। আর্জেন্টিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল আছে পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে। ৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০। বাছাইপর্ব থেকে ৬টি দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট পাবে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন