শেয়ারবাজার নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আজ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৩০তম সভায় ধানমন্ডি সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাউজ দু’টি কনসোলিডেটেড কাষ্টমার একাউন্টে ঘাটতি পূরণের আবেদন করলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা তা বাতিল করে দেয়।
এছাড়া হাউজ দু’টির পরিচালকবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক/সিইও সকলের ব্যাংক হিসাব, বিও অ্যাকাউন্ট জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এদিকে আলিফ ইন্ডাষ্ট্রিজের ২০০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের সম্মতিপত্র প্রত্যাহার করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এদিকে ইতিবাচক আচরণ দিয়ে দিন শুরু করলেও আজ বেলা বাড়ার সাথে সাথে এক পর্যায় মন্দাবস্থায় নেমে আসে শেয়ারবাজার। দুপুর ১টার পর থেকে আবারও ঘুরে দাঁড়ালে দিনশেষে সূচকের বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়।
তবে বেশিরভাগ শেয়ারের দর পতনে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও’র তেমনটা উন্নতি হয়নি। একদিন সূচক পতনে বিনিয়োগকারীদের যে ক্ষতি হয় তিনদিন বাড়লেও তা পূরণ হচ্ছে না।
জানা যায়, আজ ১১ সেপ্টেম্বর ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.২০ শতাংশ বা ১১.১৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭১৩.৯৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৫৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৪০.৯২ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৬.৯৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১০৭.৮১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৩টির, কমেছে ১৭২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ৪১.০৬ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ১৮ কোটি ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৬টি শেয়ার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯১৮ বার হাতবদল হয়েছে। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৬২৫ কোটি ১৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
গত কার্যদিবসে অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১.৩০ শতাংশ বা ৭৩.২৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছিল ৫ হাজার ৭০২.৮৩ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২০.২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছে ১ হাজার ২৩৫.৩৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ২২.২২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ২ হাজার ১১৪.৭৪ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ২৭৩টির, কমে ৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয় ৪৭টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে গত কার্যদিবসে ৬৮.৯৪ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পায়। সারাদিনে ডিএসইতে ১৪ কোটি ৭০ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬৮টি শেয়ার ১ লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ৫২৬ কোটি ৭২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৯৮ কোটি ৪৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।
এদিকে আজ দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ০.২১ শতাংশ বা ৩৪.৫৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছে ১৬ হাজার ১৬১.৯৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৩৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ৯০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির। আজ দিন শেষে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৯১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪১ টাকা।