19 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

কারেকশনের শেয়ারবাজারে লোকসানের পাল্লাই ভারী

দেশের শেয়ারবাজারে আরও একটি হতাশার সপ্তাহ পার করলো । বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন ও বাজার মূলধন কমার পাশাপাশি কমেছে সব ধরণের সূচক।

সূচক বাড়লে যে পরিমাণ শেয়ার দর বাড়ে, কমলে, দর কমে তার চেয়ে বেশি। যে কারণে সামগ্রিক পুঁজিবাজারে কারেকশন দেখানো হলেও দিনশেষে ভারী হয় লোকসানের পাল্লা।

চলতি নভেম্বরের শুরুর দুই সপ্তাহে শেয়ারবাজারে উত্থান-পতনের সামঞ্জস্য থাকলেও গেল সপ্তাহ কেটেছে পুরোই হতাশায়। মাসের শুরুতে সূচক যেখানে ছিল, ১৪ দিনের ঘুরপাকে আবারও ফিরে এসেছে সেখানেই। কিন্তু শেয়ারের দর কমেছে তার চেয়ে বেশি।

মৌলভিত্তি হিসেবে বিবেচিত ডিএসই-৩০ শেয়ারগুলোর মধ্যে বাটা শুর দর চলতি মাসে ৯২৬ টাকায় শুরু করলেও শেষ হয়েছে ৯০৫ টাকায়। এছাড়া ব্যাটবিসি ৩৭৩ টাকা থেকে ৩৬০ টাকায়, রেনেটা ৬৭০ টাকা থেকে নেমে এসেছে ৬৪০ টাকায়।

বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ারবাজারে সূচক কমেছে

বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ারবাজারে সূচক কমেছে ১৫৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট। এছাড়া দৈনিক লেনদেন ৪৪১ কোটি টাকার কমার পাশাপাশি বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।

শেয়ারবাজারে গেইনারের শীর্ষে উঠে আসা জুট স্পিনার্সের সপ্তাহজুড়ে দর বৃদ্ধি পেয়েছে ২৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ফাইন ফুডসের দর বেড়েছে ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এছাড়া সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে আইবিবিএল সেকেন্ড পারপেচুয়াল মুদারাবা বন্ড। এছাড়া অগ্নি সিস্টেমস ও মতিন স্পিনিং মিলসের শেয়ারে আস্থা না থাকায় দর কমেছে অনেক।

বিদায়ী সপ্তাহে সেক্টর বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি লেনদেন বেড়েছে লাইফ ইন্স্যুরেন্সে। অন্যদিকে বিদ্যু ও জ্বালানি, আর্থিক-সিরামিক খাতে লেনদেন কমেছে ব্যাপক।

এদিকে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৬৩ পয়েন্ট। এতো কম পিই রেশিও থাকা যেকোন বাজারের জন্য অত্যন্ত বিনিয়োগ উপযোগী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এনএ/

আরও পড়ুন: কারেকশনের শেয়ারবাজারে লোকসানের পাল্লাই ভারী

দেখুন: ৪,২৩০ কোটি টাকা লোকসান বেসিক ব্যাংকের!

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন