দিন যত যাচ্ছে ততই তলানিতে পড়ে যাচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। মন্দা পরিস্থিতি উত্তোরণে আজ ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাজারকে সাপোর্ট দিতে আইসিবি’র বিশেষ অবদান রাখবে বলে জানানো হয়।
এদিকে ২৭টি কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানোর পর শেয়ারবাজারে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল তার অবসান হয়েছে। আজ ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত কমিশনের ৯২৭তম জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত যেসব কোম্পানি ইতিমধ্যে অনুমোদিত লভ্যাংশের ৮০% বিতরণ করেছে সেসব কোম্পানিতে জেড ক্যাটাগরি থেকে পরিবর্তন করা হবে। এক্ষেত্রে ১০ শতাংশের নিচে ডিভিডেন্ড দেওয়া কোম্পানিগুলো ‘বি’ ক্যাটাগরিতে এবং ১০ শতাংশ বা তার ওপরে ডিভিডেন্ড দেওয়া কোম্পানিগুলো ‘এ’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হবে। উল্লেখ্য, কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ‘পিএসসি’ যুক্ত করার জন্য এখন থেকে কোন ফি দিতে হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে আইসিবি’র সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও কল্যাণের কেন্দ্রেবিন্দুতে রয়েছে সংস্কার। দেশের পুঁজিবাজারের টেকসই ও যথাযথ সংস্কারের জন্য বিএসইসি’র গঠিত টাস্কফোর্স স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং সংস্কারের পরিকল্পনায় টাস্কফোর্স এর অধীন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত বেশ কিছু ফোকাস গ্রুপ কাজ করবে।
তিনি বলেন, দেশের পুঁজিবাজারের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সরকারি মালিকানাধীন বিনিয়োগ কোম্পানি হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আইসিবিকে বিশেষ অবদান রাখতে হবে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নের পথে বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পদক্ষেপ গ্রহণ ও উদ্যোগী হতে হবে। পুঁজিবাজারের টেকসই ও যথাযথ সংস্কার আনয়নে আইসিবি সক্রিয়, দায়িত্বশীল ও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দেশের পুঁজিবাজারের টেকসই উন্নয়নের জন্য দেশের মিউচুয়্যাল ফান্ড এর বিকাশ এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি জরুরি। এছাড়া মিউচুয়্যাল ফান্ডকে আরো বেশি জনপ্রিয় করতে এবং এই খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইসিবিকে আরো উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান রাশেদ মাকসুদ।