শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে আসরে দারুণ শুরু পেয়ে গেলো বাংলাদেশ। ডালাসে লংকানদের দেয়া ১২৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় টিম টাইগার্স। তবে বরাবরের মত ব্যর্থ টপ অর্ডার। দলকে চাপে ফেলে ফিরে যান শান্ত, সৌম্য, তামিমরা।
না, টাইগার ফ্যানদের দীর্ঘশ্বাস আর দীর্ঘ হতে দেয়নি লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। লংকানদের বিপক্ষে ২ উইকেটের স্বস্তির জয়। তবে টাইগার টপ অর্ডার আজও দলকে ফেললেন অস্বস্তিতে। ১২৫ রানের টার্গেট টপকানোর কাজটা কঠিন করে তোলে শান্ত-তামিম-সৌম্যরা।
ডালাসে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, বাউন্সি উইকেটে শুরুটাও ছিল বেশ। নিজের প্রথম ওভারেই কুশালকে তুলে নেন তাসকিন, বোল্ড হয়ে ১০ রানেই কুশালের দ্যা এন্ড।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে টু মাচ এক্সপেন্সিভ সাকিব আল হাসান, চার চারে হজম করেন ১৬ রান। তবে পরের ওভারেই উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ, তানজিম সাকিবের ক্যাচ হয়ে ফেরেন কামিন্দু মেন্ডিস। পাওয়ার প্লে তে লংকানদের স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে ৫৩ রান, সবচেয়ে খরুচে বোলার সাকিব আল হাসান।
টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হতে থাকেন পাথুম নিশানকা, এই লংকানের এগ্রেসানে টাইগাররা দিশেহারা। তবে তাকে উপড়ে ফেলেন মোস্তাফিজুর রহমান, ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। নিশানকার আউটে মোমেন্টাম পেয়ে যায় টাইগাররা, বল হাতে দারুন করতে থাকে টাইগার বোলাররা।
শয়ের ঘরে পৌছাতেই আল হাসানের ক্যাচ হয়ে চারিথ আসালাংকা ফেরেন, রিশাদ হোসেন এই আসরে নিজের প্রথম উইকেট নিয়ে নেন। এরপর টেক্সাসের ২২ গজের গল্পটা শুধুই টাইগারদের। হাসারাঙ্গা উইকেটে এসে প্রথম বলেই আউট, লংকান কাপ্তানের শিকার ধরেন রিশাদ, তাতে জাগে হ্যাট্রিকের সম্ভাবনা। হ্যাট্রিক না হলেও এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি টার্ন করতে পারা বোলার হয়ে যান রিশাদ।
তাসকিন-মোস্তাফিজ-রিশাদদের দারুন বোলিং, আর তাদের সামনে লংকানদের নিদারুন ব্যাটিং। শেষ ২৪ রান তুলতে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা হারায় ছয় উইকেট। থমকে যায় রানের চাকা।
এরপর আবারও রিশাদের গৌরবগাথার গল্পটা। ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফিরিয়ে পেয়ে যান নিজের তৃতীয় উইকেটের দেখা ।শেষমেশ ১২৪ রানেই থামে লংকানদের ইনিংস।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সৌম্য সরকারের তাড়াহুড়ো ভীষন, উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার।
দলীয় ৬ রানে ফেরেন তানজিদ তামিম, ফুলার লেন্থের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড । ৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে পথহারা টাইগাররা।
টাইগারদের টপ অর্ডার ব্যর্থ বরাবরের মত, নাজমুল শান্ত ধরে রাখেন ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা। থুসারার ফুলার লেন্থের বল অফ স্টাম্পের বাইরে, ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে প্যাভিলিয়নে।
ক্রাইসিস মোমেন্টে ক্রাইসিস ম্যান হয়ে যান তাওহীদ হৃদয়। ২০ বলে ৪০ রান করে ফেরেন হৃদয়। টাইগারদের জয়টা নাগালে আসে তার ব্যাটেই। উইকেট আগলে রেখে খেলতে থাকা লিটন ফেরেন ৩৬ রানে। বল হাতে খরুচে সাকিব ব্যাট হাতেও ব্যর্থ । ১৪ বলে ৮ রান করে ফেরেন ডিপ থার্ডে ক্যাচ দিয়ে।
এরপর দ্রুত ফিরে যান রিশাদ, তাসকিন। হারের শংকায় পড়ে টিম বাংলা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে টাইগারদের ২ উইকেটের জয় এনে দেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।