ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভে উস্কে দেয়া হয়েছে। আছে দেশি-বিদেশি তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনও। রাজনীতি ঢুকে পরে সব মিলে পোশাক খাত নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। তাই দাবিদাওয়া মানার পরেও এ খাতে অস্থিরতা কাটছে না।
নানা উদ্যোগ-আয়োজনের পরও পোশাকশিল্পের অস্থিরতা যেন কাটছেই না। এ খাতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ নতুন নয়। বিভিন্ন সময় বিক্ষোভের জেরে শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এবার পোশাক খাতের শ্রমিকরা হঠাৎ করেই কিছু অপ্রচলিত ইস্যু সামনে আনছেন।
শুধু নারী নয় সমান সংখ্যক পুরুষকর্মী নিয়োগ, ছাঁটাই বন্ধ, হাজিরা বোনাস প্রদান এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়াসহ ১১ দফা দাবি তাদের।
দেশের এমন চরম ক্রান্তিলগ্নে শ্রমিকদের এই সহিংস আন্দোলন উদ্বেগ তৈরি করছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী শ্রমিকদের বেশিরভাগই বহিরাগত। উদ্যোক্তারা বলছেন, পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় দুষ্কৃতকারীরা সুযোগ নিচ্ছে, শ্রমিক সেজে হামলা করছে।
এদিকে, আর্থিকভাবে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতকে ধ্বংস করার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কি না? অনেকেই সেই সন্দেহ করছেন। ঝুট ব্যবসা আর তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপকে দুষছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতকে ধ্বংস করার জন্য যদি কোনো অদৃশ্য শক্তি সত্যিই পর্দার আড়ালে কলকাঠি নাড়ে, টাকা ছিটিয়ে দেশীয় এজেন্টদের দিয়ে শিল্পাঞ্চলগুলোকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালায়, তবে সেই অপশক্তিকে খুঁজে বের করা দরকার বলেও মত তাদের।