সংকট উত্তরণে দিক নির্দেশনা কম নতুন বাজেটে। অর্থমন্ত্রী, যতটা ইচ্ছার কথা বলেছেন, তা বাস্তবায়নে ততটা পরিকল্পনা সাজাতে পারেননি। উল্টো মানুষের ওপর করের বোঝা আরও বাড়বে। তবে যারা কর দেন না, তাদের খুঁজতে মনোযোগ দেবেন না অর্থমন্ত্রী। ভরসা দিয়েছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানার, তবে তা কাজে দেবে বলা যায় না।
গত আড়াই বছর মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। সরকারি হিসাবে, মে মাসেও এটি অহসনীয়, খাদ্য পণ্যের দাম বেড়েছে গত বছরের তুলনায় প্রায় ১১ শতাংশ। যদিও, সরকারি এ হিসাব কষে, বাজারে গেলে, বাস্তবতা পাওয়া যাবে না।
নতুন বাজেট দিয়ে, অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামাতে চেয়েছেন, ভরসা দিতে চেয়েছেন মানুষকে, তবে তা কাজে দেবে কি না, তা বলা যাবে না। কারণ, কৌশল সেই পুরনো, ব্যয় সংকোচন আর ঘাটতি কমানো। আর স্থির আয়ের মানুষকে সামান্য নগদ সহায়তা ভরসা তার।
অর্থমন্ত্রী, তার জীবনের প্রথম বাজেট দিয়ে, সংকটের কথা স্বীকার করেছেন, ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তা ঠিক করারও, তবে পরিকল্পনা আর দিক নির্দেশনা ছাড়া। গতানুগতিক এ কৌশল ভঙ্গুর অর্থনীতিকে টেনে তুলতে পারবে কিনা, শঙ্কা সেখানেই।
ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলার কথা অবশ্য বাজেটে স্বীকার করা হয়েছে। বলেছেন শৃঙ্খলা ফেরানো হবে, এমন এক লাইনের ইচ্ছার বাইরে কিছু নেই। তাই কতোটা শৃঙ্খলা ফিরবে, প্রশ্ন সেখানেও।
অর্থের সংকুলান যে রাতারাতি বাড়ানো যাবে না, তা বাজেটে স্পষ্ট করা হয়। তবে রাজস্ব বাড়াতে তিনি বড় কোন সংস্কারের পথে হাটেননি। উল্টো যারা কর দেন, তাদের চাপে ফেলেছেন, দুই হাত ভরে কর চান তাদের থেকে।
বাজেট দিয়ে নয়া অর্থমন্ত্রী, কয়েকটি অগ্রাধিকারের কথা বলেছেন। তিনি সুশাসনে, তার মনোযোগের কথা বলেছেন, তবে সুযোগ দিয়েছেন কালো টাকা ঢালাও সাদা করার।