16 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

সতর্ক না হলে বিপর্যয় ডেকে আনবে এআই!

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণার কারণে ২০২৪-এ নোবেল পেয়েছেন দুই বিজ্ঞানী জন হোপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন। আর এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েই সকলকে সতর্ক করছেন হোপফিল্ড নিজেই।

নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী জন হোপফিল্ডের দাবি, এআই সংক্রান্ত সাম্প্রতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত ‘আপত্তিকর’। যদি এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে ‘সম্ভাব্য বিপর্যয়ে’র জন্য প্রস্তুত হতে হবে মানব সভ্যতাকে।

প্রসঙ্গত, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারণেই নাকি বিলুপ্তি ঘটতে পারে মানব সভ্যতার! এমন আশঙ্কা ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বটের আবির্ভাবের পর থেকে সে সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে। এমন মত দিয়েছেন অনেকেই। এবার একই সুর শোনা গেল সদ্য নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী জন হোপফিল্ডের মুখেও।

হোপফিল্ডকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”বুঝতে হবে প্রযুক্তি কেবলই ভালো বা খারাপ এই ধরনের অভিমুখের দিকে এগিয়ে যায় না। আমি একজন পদার্থবিদ। যা নিয়ন্ত্রণে নেই, তার নিয়ে আমি অত্যন্ত বিরক্ত হই। যেটা আমি ভালো করে বুঝতে পারছি না সেই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সীমাগুলো কী কী। এআই ঠিক এই প্রশ্নগুলোই তুলে ধরছে।”

উদাহরণস্বরূপ তিনি তুলে ধরলেন ‘আইস নাইন’-এর কথা। ১৯৬৩ সালে লেখা কার্ট ভনেগাটের ‘ক্যাটস ক্রেডল’ উপন্যাসটির বিষয়বস্তু ছিল এমন এক পদার্থ, যা কাদা থকথকে পরিস্থিতিতে সৈন্যদের সাহায্য করবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেটার প্রভাবেই গোটা পৃথিবীর সব সমুদ্র জমে কঠিন পদার্থ হয়ে গেল। যার জেরে ধ্বংস হয়ে যায় সভ্যতা। আর এই উদাহরণ দিয়ে হোপফিল্ড বলেন, ”আমি শ্রেষ্ঠ তরুণ গবেষক ও আরও অনেককে বলতে চাই তাঁরা যেন এআইয়ের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেন। সরকারেরও উচিত বড় সংস্থাগুলিকে এই ধরনের গবেষণার বন্দোবস্ত করার জন্য তাগাদা দেওয়ার।”

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন