বৃষ্টির অজুহাতে সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। একইসঙ্গে বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে নিত্যপণ্য ঢাকায় ঠিকমতো আসছে না। আর সরবরাহ কমে যাওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে ফার্মের বাদামি রঙের ডিম ১৬০ টাকা ডজন বিক্রি হলেও মহল্লার দোকানে লাগছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। গতমাসে সরকার পতনের পর নিত্যপণ্যের দাম কমে অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে এসেছিল। তবে গত তিন সপ্তাহে আবারও বেড়ে তা আগের অবস্থানে গেছে। আজ ব্রয়লার মুরগি ১৮০-১৯০ ও সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভালো মানের গোল বেগুন প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না গাজর ১৮০ টাকায়, ঢেঁড়স, পটোল ও চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতিটি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচামরিচের দাম ওঠানামা করছে। কোথাও ২০০ আবার কোথাও ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দিন চারেক আগেও ছিল ১৬০ টাকা। ৫০-৫৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে স্থিতি পেয়েছে আলুর দাম।
এ ছাড়া বাজারগুলোতে লালশাক ১৫ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা, পালংশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত ভারত প্রত্যাহার করলেও, বাজারে তার প্রভাব তেমন পড়েনি। আমদানি পেঁয়াজের কেজি ৯০-১০০ এবং আগের মতোই ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। গত সপ্তাহের মতো দেশি রসুন ২০০-২১০ এবং আমদানি রসুন ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণে আসেনি চালের বাজারও। প্রতিকেজি মোটা চাল (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) ৫০-৫৫ ও মাঝারি (বিআর-২৮ ও পাইজাম) ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে সরু চাল (মিনিকেট ও নাজিরশাইল) বিক্রি হচ্ছে ৬৪-৭৮ টাকা টাকা কেজি।