19 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

সব সরকারের কাছের লোক ছিলেন মতিউর

সব সরকারেরই কাছের লোক ছিলেন এনবিআরের সদ্যসাবেক সদস্য মতিউর রহমান। তার দাপট এতটাই ছিল যে, তিনি নিজে না চাইলে তাকে বদলি করা যেত না। তার জন্য তদবির করেন সাবেক সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে বাঘা বাঘা প্রতাপশালীরা। এ নিয়ে বিব্রত হয়েছিলেন অন্তত দুই জন সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান।

ছাগল-কাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান এখন থেকে ১৭ বছর আগে রাজস্ব প্রশাসনের একজন মধ্যম স্তরের কর্মকর্তা হয়েও ছিলেন বিপুল প্রভাবশালী। যোগাযোগ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে এনবিআরে তার অন্তত দুটি বদলির আদেশ বাতিল করেছেন বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস, বেনাপোল কাস্টমস, লার্জ ট্যাক্সপেয়ার ইউনিট, ঢাকা ও চট্টগ্রামের কাস্টমস ভ্যাট কমিশনারেটসহ একাধিক শুল্ক স্টেশনে কাজ করেছেন মতিউর। কর বিভাগের এই কর্মস্থলগুলোতে কাজ করা বেশ লাভজনক বলে মনে করেন অনেক কর্মকর্তা।

২০০৭ সালের অক্টোবরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তৎকালীন এনবিআর চেয়ারম্যান বদিউর রহমান মতিউরকে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস থেকে রাজশাহীর ভ্যাট কমিশনারেটে বদলি করেন। সম্প্রতি একটি টিভি টকশোতে বদিউর বলেন, মতিউরকে বদলির আদেশ প্রত্যাহার না করায় তাকেই বদলি হতে হয়েছিলো।

আর ঠিক এটাই হয়েছে। বদিউরকে ২১ অক্টোবর অন্যত্র বদলি করা হয়। আর মতিউর এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে ফিরে আসেন।

এছাড়া ২০২২ সালের জুলাই মাসে এনবিআর চেয়ারম্যান এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীমও মতিউরকে বদলি করতে ব্যর্থ হন। মতিউর রাজশাহীতে তার নতুন পদে যোগদান করেননি এবং ১৫ দিনের মধ্যে তার বদলি বাতিল করে নতুন আদেশ জারি করা হয়।

সম্প্রতি ঈদের আগে মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত জানান তিনি ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কিনেছেন। এরপর এরপর এই ৭৮ হাজার টাকা মাসিক বেতন পাওয়া সরকারি কর্মকর্তার আয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তারপরি নানা উদ্যোগ নেয়া শুরু করে সরকার।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন