এবার ভেঙে দেয়া হলো ব্যবসায়িদের শীর্ষ সংগঠন-এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ। জনরোষে বিদায় নেয়া আওয়ামী লীগ সরকারের টানা শাসন আমলে সংগঠনটি যেন সরকারের ব্যবসায়িক শাখায় পরিণত হয়। এমনকি কোন পদে কারা আসবেন সেটিও সরকারের শীর্ষ মহল ঠিক করে দেয়া হতো। ব্যবসায়িরা বলছেন, সংগঠনটিতে ব্যাপক সংস্কার আনতে হবে।
দলীয় কোন নেতার কথা নয়। দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ি সংগঠন-এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট কথা বলছেন। তবে গত ২২ জুলাই, তার ভাষণ ছাড়িয়ে যায় রাজনৈতিক কর্মীর চরিত্র।
অবশ্য, আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের শাসন আমলে, এতোটা রাজনীতি আর দলীয়করণ হয়েছে, তার ছায়ায় এফবিসিসিআইয়ের শীর্ষ পদে কারা আসবেন, তা সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ঠিক করে দেওয়াটা রেওয়াজে পরিণত হয়। সম্প্রতি এ নিয়ে আন্দোলনে নামেন ব্যবসায়িরা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের হাত দেয়, তার আলোকে, এবার এফবিসিসিআই পর্ষদ বাতিল করলো সরকার, দেয়া হলো প্রশাসক নিয়োগ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমানকে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।
আদেশে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগ করেন। আর প্রশাসক ১২০ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবে। ব্যবসায়িরা বলছেন, সংগঠনটি যাতে আর সরকারের দলীয় শাখায় রূপ না নেয়, তারা সে সংস্কার প্রস্তাব দেবে।
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের পর আমিন হেলালী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিজেকে দাবি করেন। যদিও তার দাবির পেছনে পর্ষদ পুনর্গঠনসংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ দেয়া হয়নি। তাছাড়া যে পত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়, তা ত্রুটিপূর্ণ ছিল। গত মাসে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা কে চিঠি দেন বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। তারা মানব বন্ধনও করেছেন একই দাবিতে।