নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ যে সামান্থা গভীরভাবে মর্মাহত করেছে তা আগেই জানতেন অনুরাগীরা। এরপর শোভিতা ধুলিপালাকে নিয়ে করে সংসারী হয়েছেন নাগা। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, এই বিবাহবিচ্ছেদে তাঁকে সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে এবং সবটাই মেনে নিতে হয়েছে। এবার নাগার শেষ স্মৃতিটুকু মুছে ফেললেন নিজের শরীর থেকে। সে কথাও অকপটে জানালেন অনুরাগীদের।
এর আগেই বিয়ের পোশাক কেটে রং করে কালো পোশাকে পরিণত করেন সামান্থা। বাগদানের সময় নাগার দেওয়া আংটি ভেঙেও একটি লকেট করে নিয়েছেন।
অভিনেতার সঙ্গে প্রেম শুরুর পর শরীরে তিনটি ট্যাটু করান অভিনেত্রী। ২০১০ সালে সামান্থার প্রথম ছবি ‘ইয়ে মায়া ছেসাভে’ ছবি মুক্তি পেয়েছিল, সেই ছবির নাম অনুযায়ী ‘ওয়াইএমসি’ ট্যাটুটি সামান্থার পিঠে রয়েছে।
অভিনেত্রীর ডান দিকের পাঁজরের নীচে তাঁর প্রাক্তন স্বামী নাগা চৈতন্যর ডাক নাম ‘চৈ’ লেখা। বিয়ের সময় এই ট্যাটুটি করিয়েছিলেন সামান্থা। আর তৃতীয় ট্যাটুটি রয়েছে কব্জিতে। দু’টি তীর আঁকা রয়েছে সেখানে। নাগা চৈতন্যের সঙ্গে মিলিয়ে তখন ট্যাটুটি করিয়েছিলেন তিনি।
প্রথম দু’টি ট্যাটু আগেই মুছে দিয়েছিলেন। এবার কব্জিতে করা ট্যাটুটিও মুছে ফেলছেন সামান্থা। কারণ, ওই একই রকম ট্যাটু ছিল নাগার হাতে। নাগা অবশ্য এখনও সে উল্কি মোছেননি। শোভিতার সঙ্গে বিয়ের পরও ওই উল্কি দেখা গিয়েছে নাগার হাতে।
সম্প্রতি সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি ভাগ করেছেন সামান্থা। সেখানেই স্পষ্ট দেখা গিয়েছে আবছা হয়ে যাওয়া তীরের ট্যাটু। তারপর থেকেই অনুরাগীদের মধ্যে কানাঘুষো শুরু তবে শেষ স্মৃতি টুকি মুছে ফেললেন অভিনেত্রী!
পড়ুন: ফসিলস ব্যান্ডের প্রাক্তন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু
দেখুন: স্বামী এবং প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে এক বাসায় থাকছেন এই তরুণী |
ইম/