২০০৭ সালের দেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় সিডর। আজও অরক্ষিত পটুয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালী। পানির উচ্চতা বাড়ছে, কিন্তু বাড়ছে না বাঁধের উচ্চতা।
১৭ বছর আগে ১৫ নভেম্বর ্যাটাগরি-৫ মাত্রার এই ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানে। ১২-১৫ ফুট জলোচ্ছ¡াসে তলিয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ জনপদ। ১০ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে সিডরে জানিয়েছিলো রেডক্রিসেন্ট।
৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছিল। লবণাক্তত পানিতে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়েছিল কৃষি জমি। ভেসে গিয়েছিল চাষের মাছ।
দুর্যোগপ্রবণ এলাকা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী এখনও অরক্ষিত। বছরের পর বছর গেলেও নাজুক এবং দুর্বল বাঁধ টেকসই করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে জলোচ্ছ্বাস হলেই কোথাও বাঁধ ভেঙে, কোথাও বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। চরনজির, চরহেয়ার ও চরকাশেম নামের তিনটি চরে এখনও বেড়িবাঁধ করা হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে। তাই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সাড়ে ৭ মিটার উচ্চতার বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে। কিন্তু বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের উচ্চতা বাড়েনি। টেকসই বাঁধ নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।
রাঙ্গাবালী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ১৯৮৭ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাঙ্গাবালীতে ধাপে ধাপে ১৮৭ দশমিক ৯৯ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলোর উচ্চতা এখন তিন থেকে চার ফুট। এসব বাঁধ উঁচু করার দাবি স্থানীয়দের।
টিএ/
পড়ুন: খাদ্য মজুদ বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য: খাদ্য উপদেষ্টা