সিরিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদপন্থি ১৬২ জনকে ‘হত্যা’র খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৭ মার্চ) আসাদপন্থি অন্তত ১৬২ জনকে হত্যা বা ‘মৃত্যুদণ্ড কার্যকর’ করা হয় বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান ওয়ার মনিটর।
উপকূলীয় প্রদেশ আসাদ পরিবারের শক্ত ঘাঁটি লাতাকিয়ায় আলাউইত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠির ১৬২ জন বেসামরিক লোককে ‘হত্যা’ বা ‘মৃত্যুদণ্ড’ কার্যকর করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
এদিকে, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদপন্থি আলাউইত বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। আত্মসমর্পণ না করলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বলেন, “আপনারা সব সিরীয়র ওপর হামলা চালিয়েছেন এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সময় এসেছে। আর আপনারা এটি প্রতিরোধ করতে পারবেন না। অস্ত্র ফেলে দিন এবং আত্মসমর্পণ করুন, খুব বেশি দেরি হওয়ার আগে।”
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সিরিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের লাতাকিয়া ও তার্তুস অঞ্চলে সংঘর্ষের সূত্রপাত। ওই এলাকাগুলোতে সিরিয়ার আলাওয়ি সম্প্রদায়ের মধ্যে আসাদের ব্যাপক সমর্থন ছিল। তবে তিন মাস ধরে সেখানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চলছে।
সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হওয়ার পর বিক্ষুব্ধ ও বিশৃঙ্খল জনতা উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়।’
গোয়েন্দা প্রধান আনাস খাত্তাব দাবি করেছেন, এই হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পেছনে সাবেক আসাদ সরকার-সমর্থিত সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর নেতারা রয়েছেন।

সিরিয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,
লাতাকিয়া ও তার্তুসের গ্রামীণ এলাকার ৬টি হাসপাতাল বৃহস্পতিবার রাতে হামলার শিকার হয়। সেখানে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতার ঘটনায় সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে সরকারপন্থী ও বিরোধী—উভয় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে।
সিরিয়ার নতুন সরকারের অন্যতম প্রধান সমর্থক সৌদি আরব এই হামলাকে ‘অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর সংগঠিত অপরাধ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
পড়ুন: সিরিয়ায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণ, নিহত ১৫
দেখুন: সিরিয়া সংকট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া দ্বন্দ্ব
ইম/