বৃষ্টি আর উজানের ঢলে বিপর্যস্ত সিলেট-সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন স্থানীয়রা। আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। তবে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ-বালাই। অভিযোগ উঠেছে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ার।
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে বিপর্যস্ত সিলেট, বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমছে। সেই সাথে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে রৌদ্রজ্জ্বল পরিবেশ বিরাজ করছে। শর্ত সাপেক্ষে বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।
মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি নেমে গেলেও, অনেক নিচু এলাকার সড়ক ও বাসাবাড়ি থেকে পুরো পানি নামেনি এখনো। তবে আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছেন স্থানীয়রা।
বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দেখা দিয়েছে নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ। একইসঙ্গে বন্যাকবলিত সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও, পাহাড়ি ঢলের তোড়ে বিধ্বস্ত সড়কগুলো ক্ষতচিহ্ন নিয়ে ভেঁসে উঠছে। এসব সড়কে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। সড়ক বিভাগের তথ্যমতে, বন্যায় প্রায় ২৪০ কিলোমিটার সড়কের ক্ষতি হয়েছে।
পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায়, আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন বানভাসি মানুষ। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত ও সংসার চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা।
জেলার সাত উপজেলার সাড়ে ৬ লাখ মানুষ গত এক সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি থাকার পর, এখন স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে শুরু করেছেন। বন্যার তাণ্ডবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দোয়ারাবাজার, ছাতক ও সুনামগঞ্জ সদর।