চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের অধীনস্ত ছেংগারচর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কালাকান্দা সাকিনের উভয় পাশ থেকে বেআইনীভাবে বিভিন্ন প্রজাতির লাখ লাখ টাকার গাছ জোড়পূর্বক কেটে নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগটি করা হয়। অভিযোগটি করেন উত্তর কালান্দার মৃত আঃ রহমান ভূইয়া ও মৃত লজ্জাতুননেছার ছেলে আইযুরবেদী চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া।
অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, মতলব উত্তর থানায় অন্তর্গত ৬৪নং চরপালালোকদি মৌজার বি এস ১৩১নং খতিয়ানে আমার পিতার নামীয় ৩৪৪ দাগে ভিটা মোঃ ৫ একর ভূমির মালিক। ওই সম্পত্তির লাগোয়া মেঘনা ধনাগোদা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪ শতাংশ সম্পত্তি আমি দীর্ঘ ২৫ বৎসর যাবৎ রক্ষনাবেক্ষন করে আসতেছি।
অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ওই সম্পত্তিতে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন প্রকারের গাছ গাছালী যেমন মেহগনি, রেন্ডি কড়ই ও সেগুন গাছ রোপন করেছি। ওই গাছ গুলোর বয়স দীর্ঘ প্রায় ২০ বৎসর হবে। অতছ গাছগুলা এলাকার সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক জোড় পূর্বক বেআইনীভাবে প্রবেশ করে বেআইনীভাবে গাছা গুলো কেটে কয়েকটি গাছ চুরি করে নিয়ে যায়। যার মূল্য কমপক্ষে হলেও ৭৫ হাজার টাকা। পরে আমার ও আমার লোকজনের বাঁধার পরে ৭/৮টি গাছ কেটে মাটিতে ফেলে রাখে। যার মূল্য আরও ১ লাখ টাকা। এখন সেগুলো ছাড়াও সেচ প্রকল্পের অধীনস্থ জায়গার মাটি কেটে অন্যত্র নেওয়ার জন্য পায়তারা করতেছে। এ অবস্থায় ওই সন্ত্রাসী লোকজনের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রার্থনা করছি।
অভিযোগের সন্ত্রাসী কারা এ প্রসঙ্গে দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় স্থানীয় বেনজীর (৫২), নূর মোহাম্মাদ (নুরা) (৬৫), আবু বক্কর মিজি (৬৫), উজ্জল ভূইয়া (৪৫), মোঃ জামান ভুইয়া (৩২), মোঃ হারুন ভূইয়া (৫৪), মোঃ সজীব (৩৮) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮ সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক এ কাজে জড়িত। এরা গত ২৪ নভেম্বর রোববার সকাল ৭টা হতে ১১ টা পর্যন্ত সময়ে তফসিল সম্পত্তিতে অর্থাৎ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকীয় সম্পত্তিতে এই বেয়াইনী কাজ করে। তাই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী করছি।
এদিকে গাছ কাটার অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন মোঃ বেনজীর। তিনি বলেন, ওখানে একটি কবরস্থান রয়েছে। সেটি পরিষ্কার করতে গিয়ে কিছু গাছ কেটেছি। তবে এখানে যেই সমস্যা তৈরি হয়েছে তা সমাধানে স্থানীয় গণমান্যরা থানা পুলিশকে জানিয়েছে। আমরা পুলিশের দারস্ত হয়ে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত আমাদের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
টিএ/