বিরাজমান পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাতে মন্দ ঋণ বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, নীতি ছাড় দেয় ঋণের কিস্তি পরিশোধে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা কয়েক দিনের অস্থিরতায় ক্ষতি দাঁড়িয়েছে এক লাখ কোটি টাকার ওপরে। ফলে চাপ বাড়বে, আগে থেকে নাজুক থাকা ব্যাংক ব্যবস্থায়।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে, দেশের অর্থনীতি-ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির ছিলো টানা কয়েক দিন। অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে বড় ক্ষতির হিসাব টানতে হচ্ছে বেসরকারি খাতকে।
ক্ষতির পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকা হতে পারে বলে জানাচ্ছে বেসরকারি খাত। ক্ষতিতে পড়ে, ব্যাংকের কিস্তি নিতে ব্যর্থ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে শেষ চাপ টানতে হবে বিপাকে থাকা ব্যাংক ব্যবস্থাকে। অর্থনীতিবিদদের মতে, বাড়বে মন্দ ঋণ।
অবশ্য, আশঙ্কার সত্যতা মেলে, অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে পড়া একটি ব্যবসায়ি সংগঠনের চিঠি থেকে। নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন, বিকেএমইএ পরিস্থিতি জানিয়ে চিঠিতে কিস্তি ফেরতে সময় চেয়েছে।
বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। নতুন সংকটে পরিস্থিতি আরও নাজুকই হবে মনে করা হচ্ছে। ব্যবসায়িরা বলছেন, অনেকে দায় ফেরত দেয়ার সামর্থ্য হারিয়েছেন।
ব্যবসা বাণিজ্যের স্থবিরতার ক্ষত ঠিক করতে তাই গুচ্ছ উদ্যোগের কথা বলছেন ব্যবসায়ি নেতারা।
ঋণ গ্রহীতাদের কিস্তি ফেরতে বাড়তি সময় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই, কেবল যে ব্যাংকের মন্দ ঋণ বাড়বে তা নয়, সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এতে কমে যেতে পারে ব্যাংকের মুনাফা।