অর্থনীতির স্থবিরতা কাটলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। রপ্তানিমুখী কারখানাগুলোতে উৎপাদন শুরু হলেও, ক্ষত তৈরি হয়েছে দীর্ঘ মেয়াদে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতাদের আরোপিত শর্ত পালনে, কিছু পণ্য অনেক রপ্তানিকারককে পাঠাতে হচ্ছে উড়োজাহাজে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভঙ্গুর অর্থনীতি চাঙ্গা করার চেষ্টায় পিছিয়ে গেল দেশ। ফের প্রশ্নের মুখে পড়লো বিনিয়োগ পরিবেশ।
সহিংসতা, কারফিউ, ছুটিতে বড় শিল্প কারখানাগুলোও বিপদে পড়ে, বন্ধ রাখতে হয় উৎপাদন। গতি কমতে থাকে ছোট বড় সব ব্যবসা বাণিজ্যে।
আর ইন্টারনেট না থাকায় রপ্তানিকারকরা বিছিন্ন হয়ে পড়েন ক্রেতাদের থেকে। কাউফিউ শিথিল হচ্ছে, রপ্তানিমুখী খাতের চাকাও ঘুরতে শুরু করেছে। তবে ব্যবসায়িরা বলছেন, স্থবিরতা কাটলেও, ক্ষত সহজে কাটবে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক, অনেক রপ্তানিকারকে পণ্য পাঠাতে হচ্ছে উড়োজাহাজে। আবার গত কয়েক দিনের বাতিল হওয়া পণ্য জাহাজিকরণের ব্যর্থতায়, গুনতে হবে মূল্যছাড়। তবে, ব্যবসায়িরা আশা করছেন, বেসরকারি খাত বিপদটা কাটিয়ে উঠবে।
এখনো ইন্টারনেট পুরোপুরি সচল হয়নি, তাই, বেগ পেতে হচ্ছে। সীমিত ব্যাংকিংও চাপে ফেলছে সব কিছুতে। ধারণা করা হচ্ছে, উৎপাদনমুখী খাতে যে জট তৈরি হলো, তা ঠিক করতে হয়তো কয়েকমাস গেলে যাবে। অর্থনীতিবিদরা অবশ্য বলছেন, ভঙ্গুর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা পিছিয়ে গেল।
ব্যবসায়ী-অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ফের প্রশ্নের মুখে পড়লো দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ। দেশের নষ্ট হওয়া ভাবমূর্তি ফেরানোটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখছেন তারা।