31 C
Dhaka
মঙ্গলবার, মার্চ ১১, ২০২৫

লোপাট টাকা উদ্ধার, স্থিতিশীলতা: দু’পায়ে হাঁটছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

তসরুপের টাকা উদ্ধার ও আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা – দুই পায়ে ভর রেখে হাঁটছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিধ্বস্ত খাতটি পূনর্গঠনে তাই বাড়তি মনোযোগ। তবে, বড় দায়িত্ব-মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে অনেকটাই ব্যর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক।

একে কৃষ্ণগহ্বরের সঙ্গে তুলনা করেছেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের এই খাতে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ এখন ৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা, যে অর্থ দিয়ে ১৩টি মেট্রোরেল বা ২২টি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যেত।

গত দেড় দশকে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে এই খাতে, ফলে খাতটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এই খাতের দুর্নীতিবাজেরা সবাই ছিলেন প্রভাবশালী। তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক একে স্থিতিশীল করতে নানা পদক্ষেপই নিচ্ছে।

তসরুপ আর পাচারের টাকা ফেরাতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। শ্বেতপত্র কমিটির হিসাবে, দেশ থেকে দেড়যুগে পাচার হয়েছে ২৮ লাখ কোটি টাকা। তবে, বিপুল এ অর্থ ফেরত আনা কতটা সহজ? আলোচনা চলছে, এখানেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, কাজটি কঠিন, তবে অবাস্তব নয়।

এই খাতে কার্পেটের নীচে রাখা তথ্য যেন বেড়িয়ে আসতে শুরু করেছে। ফলে, এক লাফে খেলাপি ঋণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ফলে এখন নির্দেশনা আসছে তফশিলি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি, যাতে করে লোপাটের টাকা ফেরাতে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

আর্থিক খাত স্থিতিশীলতা ও লোপাটের টাকা ফেরাতে মনোযোগ থাকলেও, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরু দায়িত্ব মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা। তবে, এই সূচকে অনেকটাই ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানটি। যদিও, তাদের আশা, আগামী মে-জুনে মূল্যস্ফীতি নামবে সাত শতাংশের আশেপাশে।

দেখুন: লোপাট টাকা উদ্ধার, স্থিতিশীলতা: দুই পায়ে হাটছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক | Nagorik TV

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন