26 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

স্বাধীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বার নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত

স্বাধীন বাংলাদেশে দ্বিতীয়বার নিষিদ্ধ হচ্ছে জামায়াত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা দলটি ১৯৭২ সালে নিষিদ্ধ হয়েছিলো। পরে অবশ্য, ১৯৭৬ সালে তারা ফের রাজনীতির সুযোগ পায়। কিন্তু ২০১১ সালে সংবিধানের সেই ধারা ফিরিয়ে আনা হলেও, জামায়াত নিষিদ্ধ হয়নি। তবে গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই বিভিন্ন পর্যায়ে সংগঠনটি নিষিদ্ধের কথা বলেছেন।

জামায়াতে ইসলামী, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরে, একাত্তরে দলটির ভূমিকা ছিলো বাংলাদেশের বিপক্ষে। ১৯৭২ সালে তারা লাল সবুজের বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হয়। সেবার কারণ ছিলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের অপব্যবহার।

তবে, জাতির পিতাকে হত্যার পর, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন -সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়। ফলে জামায়াত ফের রাজনীতি করার সুযোগ পায়। এরপর ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ হিসাবে আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে। ১৯৭৯ সালে নিজেদের নামে ফের রাজনীতির মাঠে নামে দলটি।

প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে রাজনীতির সুযোগ ফিরে পাওয়া, সংগঠনটি ফের নিষিদ্ধের দাবি তোলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, সেটি নব্বইয়ের দশকে। সামরিক শাসক এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনেও দলটি ১৮টি আসন পায়। এরপর ৯৬তে আসন তিনটি কমলেও, ২০০১ সালে তাদের সংসদীয় আসন হয় ১৭টি।

২০০১ সালের পর তৎকালীন সরকারের মন্ত্রি পরিষদে জায়গা পান জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতা। তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়ায়, ব্যাপক সমালোচনা পড়তে হয় সরকারকে। এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াত ২টি আসন পায়।

এরপর আর জামায়াত ভোট করতে পারেনি। ২০১৩ আদালত জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে, এর আগে একই বছর গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনে তা আরও জোড়ালো হয় দলটির বিপক্ষে। বর্তমান সরকারের টানা শাসন আমলে, দলটি নিষিদ্ধ করার কথা বলা হলেও তা এগিয়ে নেয়া হয়নি।

সরকারের পক্ষে অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তি, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এ নিয়ে সরব ছিলেন। কখনো তারা বলছেন, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সময়ের ব্যাপার, কেউ আবার আদালতের কথাও বলেছেন। তবে, আদালতে সংক্রান্ত কোন মামলা হয়নি কখনো।  

সরকার অবশ্য তিনটি প্রক্রিয়ায় জামায়াতকে রাজনীতি থেকে বিতারিত করার কথা সব সময় মাথায় রেখেছে। সংসদে আইন করে, আদালতের রায় ছিলো দ্বিতীয় বিবেচনায়। আর তৃতীয় বিবেচনা নির্বাহী আদেশ। এবার সরকারের নির্বাহী আদেশ প্রথম ও দ্রত ব্যবস্থার উপায় মনে করা হলো। আর পাশাপাশি বিবেচনা করা হচ্ছে জননিরাপত্তায় হুমকির বিষয়টি।

রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে দলটি আর মিছিল মিটিং করতে পারবে না, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সংগঠনটির পক্ষে কেউ কিছু বলতে পারবে না। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সংগঠনটিকে অর্থের যোগানও দিতে পারবে না। এসব করলে, তাদের আইনের আওতায় আসতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন