23 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

হাজার কোটি টাকা পাচার সালমানের, সিআইডির মামলা

বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি করেছেন পিতা। দুবাইয়ে বসে কিনেছে পুত্রের প্রতিষ্ঠান। নির্ধারিত সময়ে দেশে আসেনি সেই অর্থ। এভাবে দুবাইসহ তিনটি দেশে আটকে আছে প্রায় ৮ কোটি ডলার।

ব্যবসায়ি সালমান এফ রহমান ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা। কেবল বেসরকারি খাত নিয়ন্ত্রণ করতেন না, ব্যাংকিং খাত যাদের ইশারায় চলতো, তাদের একজনও তিনি।

রাজনৈতিক পটপরির্বতনের পর, এবার বেরিয়ে এলো তার অর্থপাচারের ঘটনা। আর পাচারের এ আয়োজন সম্পন্ন করেছেন পুত্রের সঙ্গে কোম্পানী বানিয়ে। গত ১২ বছরে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা পাচারের তথ্য সামনে এলো। তবে, প্রকৃত চিত্র হয়তো আরও বেশি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পাচার নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে, তাদের সক্রিয় করতে হবে, আর জটিল হলেও অর্থ ফেরত আনা সম্ভব।

জানা গেছে, জনতা ব্যাংক ব্যবহার করেছেন সালমান এফ রহমান। এই ব্যাংকের শীর্ষ ঋণ গ্রহীতা সালমানের বেক্সিমকো গ্রুপ। পণ্যের কাঁচামাল কিনতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থেকে, ধারও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর ১৭টি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে এ অনিয়ম সংঘঠিত হয়।

পাচারের ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা করেছে সিআইডি। ১৭ মামলায় আসামি করা হয় সালমান এফ রহমান তার পুত্রসহ ২৮ জন। বিদ্যমান আইনে, ৪ মাসের মধ্যে রপ্তানির অর্থদেশে আনার কথা থাকলেও, তা করেনি সালমান এফ রহমানের কোম্পানীগুলো।

সালমান এফ রহমানের নিয়ন্ত্রণে থাকা আইএফআইসি ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অপসারণ করা হয় তার ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানকে। তাদের পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন