ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, নিরাপত্তা প্রধানদের সঙ্গে একটি কৌশলগত আলোচনায় সতর্ক করেছেন যে, অদূর ভবিষ্যতে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ সংঘর্ষে মুখোমুখি হতে পারে।
বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নেতানিয়াহু বলেন, কূটনৈতিক সমাধানের সুযোগ থাকলেও উত্তরের সীমান্তে সংঘর্ষটি বড় আকার ধারণ করতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সম্ভাব্য সংঘর্ষের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তারা কয়েক মাস ধরে সতর্ক করছেন যে এটি কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যেই শুরু হতে পারে।
প্রসঙ্গত, হিজবুল্লাহর সঙ্গে চলমান সংঘর্ষের কারণে ইসরায়েলের হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মনে করেন, আন্তর্জাতিক অনুমোদন এবং ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সামরিক অভিযান শুরু করা উচিত।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম চ্যানেল থার্টিন জানায়, উত্তরে আইডিএফ ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে গাজায় সেনাসদস্যদের উপস্থিতি কমে যাওয়ার আশঙ্কায় সতর্ক রয়েছে ইসরায়েল। এ কারণে উত্তরে সংঘর্ষ তীব্র হওয়ার আশঙ্কা থাকলেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনও দ্বিধাগ্রস্ত।
চ্যানেল থার্টিন এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নেতানিয়াহু মনে করেন, হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াই হলেও গাজায় হামাসের ওপর চাপ বজায় রাখতে পারবে আইডিএফ। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এ সম্ভাব্যতার বিষয়ে সন্ধিহান। গ্যালান্টের মতে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে পুরোদমে যুদ্ধ হলে গাজায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি কমতে পারে, যা সেখানে জিম্মিদের মুক্তির সুযোগকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। গাজায় এখনও ইসরায়েলের ১০১ জন জিম্মি জীবিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, লেবাননে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্য ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে আশা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কারনে নভেম্বরের ৫ তারিখের আগে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
৮ অক্টোবর থেকে সীমান্তে ইসরায়েলি সেনা ঘাঁটিতে প্রতিদিনই হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ সদস্যরা।