25 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

হিজবুল্লাহ হামলা করেছে ইসরায়েলের ৫ সামরিক ঘাঁটিতে

লেবানন ভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের ৫টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে । ইসরায়েলের হাইফা শহরের মধ্যে এবং ওই শহরের কাছাকাছি অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, ওই শহরের একটি সিনাগগে একটি রকেট হামলায় দুজন আহত হয়েছে। খবর এএফপির।

এক বিবৃতিতে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা একটি প্রযুক্তিগত ঘাঁটি, হাইফা নৌ ঘাঁটি, স্টেলা ম্যারিস নৌ ঘাঁটি এবং হাইফার নিকটবর্তী দুটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চ্যালায়। এর মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনীর একটি গ্যাস স্টেশন এবং ক্ষেপণাস্ত্রের গুদাম ছিল।

এর আগে লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় গ্যালিলি এলাকায় প্রায় ২০টির মতো রকেট ছোঁড়া হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামলা অব্যাহত রেখেছে এবং তারা দাবি করেছে, গত এক সপ্তাহে রাজধানীর দক্ষিণ শহরতলিতে ৫০টি হামলা চালানো হয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকেই হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যেও সংঘর্ষ শুরু হয়।

ছবি: রয়টার্স

সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননের বিভিন্ন স্থানে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল।

এদিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেছেন, মালয়েশিয়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না। বরং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানাবে। ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দেবে। একই সঙ্গে ইসরায়েলের বিষয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক পরিবর্তনের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।

লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে স্থানীয় সময় গত শুক্রবার এশিয়া-প্যাসিফিক ইকনোমিক কো-অপারেশনের (এপেক) সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নেতানিয়াহুর বাসভবনেও বোমা হিজবুল্লাহর মলা, ইসরাইল জুড়ে আতঙ্ক

এদিকে শনিবার (১৬ নভেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে শনিবার সন্ধ্যায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবনে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে সিজারিয়ায় অবস্থিত এই বাড়ির উঠানে আগুণ ধরে যায়। গোয়েন্দা বাহিনী শিন বেত এবং দেশটির পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। একাধিক নিরাপত্তা সংস্থার যৌথ বিবৃতিতে জোর দিয়ে জানানো হয়েছে, হামলার সময় নেতানিয়াহু এবং তার পরিবারের কেউ বাড়িতে ছিলেন না।

পুলিশ এবং শিন বেত আরও বলেছে, তারা এই হামলার গুরুতর ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছে।  এছাড়া হামলার কারণ অনুসন্ধানে জোরালো তদন্ত শুরু করেছে।

এ ঘটনায় ইসরাইলের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠেছে। বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিড এবং জাতীয় ঐক্যের চেয়ারম্যান বেনি গ্যান্টজ নিন্দা জানিয়ে পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইসরাইলের গভীরে হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ

ইসরাইলের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ এই হামলার তীব্র নিন্দা করেন। রোববার এক্সে (পূর্ববর্তী টুইটার) তিনি লেখেন, ‘সব সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। নিজের বাড়িতেই এভাবে বার বার হামলার শিকার হওয়া ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয়। ইরান ও তার ছায়াসঙ্গীরা চেষ্টা করছে নেতানিয়াহুকে হত্যা করার।’

একইসঙ্গে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগও এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, তিনি শিন বেত প্রধান রনেন বার এর সাথে কথা বলেছেন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘটনার জন্য দায়ীদের তদন্ত ও মোকাবেলা করার জরুরী প্রয়োজনের উপর জোর দিয়েছেন।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর সিজারিয়ায় নেতানিয়াহুর এই বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হিজবুল্লাহ। ওই সময় পরিচালিত হামলার পূর্ণাঙ্গ ও একক দায় ঘোষণা করেছিল হিজবুল্লাহ।  

এরপর গোষ্ঠিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার প্রথম ভাষণে নেতানিয়াহুকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন শেখ নাঈম কাসেম। তিনি দাবি করেন, হিজবুল্লাহর হামলার ভয়ে নিজের জীবননাশের আশঙ্কা করছেন নেতানিয়াহু।

নাঈম কাসেম তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘আমরা নেতানিয়াহুর ঘরে একটি ড্রোন পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। নেতানিয়াহু এবার বেঁচে গেছেন, কিন্তু সম্ভবত তার সময় এখনও আসেনি।’

‘সম্ভবত একজন ইসরাইলি তাকে হত্যা করবে, সম্ভবত তার বক্তৃতার সময়।’

‘আমাদের কূটনৈতিক যোগাযোগ আমাদের নিশ্চিত করেছে যে নেতানিয়াহু খুবই ভীতসন্ত্রস্ত, কারণ আমরা তাকে লক্ষ্যবস্তু করেছি’।

দেখুন হামাসের হামলায় দিশেহারা ইসরায়েল | Hamas Israel War | Nagorik TV Special

আরও হিজবুল্লাহর হামলায় পাঁচ ইসরায়েলি সেনা নিহত

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন