সরকার পতনের শততম দিনে পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। সংস্কার ইস্যুর ধারায় সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লা ভারী হলেও আগামী দিনগুলো ইতিবাচক হবে-এমন প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কমিশন।
সরকার পতনের পর সারা দেশের বিভিন্ন সেক্টরে, গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যাক্তিদের, বাধ্যতামূলক পদত্যাগের জেরে বিএসইসির পর্ষদেও আনা হয় পরিবর্তন। চেয়ারম্যান নিয়ে শুরুতে অস্বস্তি তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত শেয়ারবাজারের অভিভাবক হিসেবে চেয়ারে বসেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
১৯ আগস্ট বিএসইসিতে নতুন চেয়ারম্যান যোগদান করার সময় সূচক ছিল ৫৭৭৫ পয়েন্ট। দৈনিক লেনদেন ছিল ৮শ কোটির ঘরে। এছাড়া বাজার মূলধন ছিল ৬৯ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা।
পরিবর্তনের শততম দিনে সূচক দাঁড়িয়েছে ৫৩২৮ পয়েন্ট। দৈনিক লেনদেন নেমে এসেছে ৫শ কোটির ঘরে। এছাড়া বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। এসময়ে শেয়ারবাজারে মূলধন কমেছে ২৪ হাজার ১২৬ কোটি টাকা।
দায়িত্ব গ্রহণের পরই সিনেমেটিক স্টাইলে বিএসইসি নিতে থাকে একের পর এক দুর্নীতি বিরোধী অভিযান। যার ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে শেয়ারবাজারে। এতে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হন বিনিয়োগকারীরা।
সবকিছু সামলিয়ে অনেকটা কৌশল পাল্টিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে বিএসইসি। এতে আগামীর শেয়ারবাজার নিয়েও তৈরি হচ্ছে প্রত্যাশা।
দায়িত্ব গ্রহণের পর গেল ১০০ দিনে আসেনি কোন আইপিও। তবে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কমিশন। পুরনো বিনিয়োগকারীদের ক্ষত দূর করতে না পারলেও নতুনদের জন্য বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরির যে কাজ চলছে তা অব্যাহত থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
টিএ/