যুক্তরাজ্যে ১৪ বছর শাসনের অবসান ঘটছে কনজারভেটিভ পার্টির। এবার লন্ডনের মসনদে বসছে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল লেবার পার্টি। সবশেষ চার নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে জৌলুশ হারাতে বসা দলটি ঘুরে দাঁড়ানোর নতুন গল্প লিখলো। ঋষি সুনাকের দলকে হারিয়ে, পেলো বড় জয়। ফলে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বামপন্থি নেতা কিয়ার স্টারমার।
অবশেষে বুথফেরত জরিপই সত্য হলো। জয়টাও প্রত্যাশিত ছিল। যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেল লেবার পার্টি। ফলে যুক্তরাজ্যে টানা ১৪ বছর পর, ক্ষমতা থেকে সরতে হচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টি। বিদায় নিতে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে।
ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই গণনা শুরু হয়। নিয়ম অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দলকে সরকার গঠন ও দলের নেতাকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানাবেন, যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস। দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দল পার্লামেন্টে প্রধান বিরোধী দল হবে।
এবারের নির্বাচনে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। ৩৫টি রাজনৈতিক দল মাত্র একজন করে প্রার্থী দেয়। রেকর্ড ভেঙে এবার ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একেকটি আসনে গড়ে ৭ জন করে প্রার্থী ছিলেন।
যুক্তরাজ্যে এবারের সাধারণ নির্বাচনে বিভিন্ন দলের মনোনয়নে প্রার্থী হন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। তার মধ্যে বড় জয় পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন আসনে লেবার পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হলেন তিনি।
নির্বাচনে টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড স্টেপনি আসনে লেবার পার্টি থেকে টানা পঞ্চমবারের মতো এমপি হলেন আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী। এছাড়া, পপলার অ্যান্ড লাইম হাউস আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বাজিমাত করেছেন, আফসানা বেগম।
৯ জুলাই নতুন পার্লামেন্ট সদস্যদের শপথ গ্রহণ ও স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৭ জুলাই রাজা তৃতীয় চার্লসের উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।