৭৩ এর আইন দিয়ে ২৪ এর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সম্ভব কিনা? দ্বিধা বিভক্ত সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবীরা।সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে, এখন পর্যন্ত ৫৪টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউসন ও তদন্ত সংস্থায়। চীফ প্রসিকিউটর বলছেন, প্রচলিত আইনেই বিচার সম্ভব।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ১৯৭৩ সালের প্রণীত আইনের অধীনে যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগঠিত মানবতার বিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য করা হয় আইনটি। যদিও ২০১০ এর আগে এই আইনে কোন বিচার কিংবা সাজা হয়নি কারো।
২০০৯ সালে সংসদ অধিবেশনে একটি মৌখিক প্রস্তাব পাশ করে সংশোধনী আনা হয় আইনে। কিন্তু সে আইনের ক্ষমতায় কি ২০২৪ এর মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার সম্ভব?
সুপ্রিমকোর্টের ফৌজদারি মামলার বিশেষজ্ঞ আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন,৩৭ বছর পরে যে আইনে বিচার হয়েছে। ১৪ বছর পরে এসেও সে আইনে বিচার করা সম্ভব। কারণ ফৌজদারি আইন ব্রিটিশ আমলে প্রণীত।
সিনিয়র আইনজীবী, জে আই খান পান্না মনে করেন, ১৯৭৩ এর আইনটি কেবল ১৯৭১ এ সংগঠিত অপরাধের বিচারের জন্য।
তবে ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর বলেন ৭৩ এর আইনের মানবতাবিরোধী অপরাধের সংজ্ঞা অনুসারে বিচারে বাধা নেই।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নামে যে অভিযোগ এসেছে তার সাজা নির্ধারণ করা নেই এই আইনে। ফলে এটির সংস্কার চান রাষ্ট্রের কৌশলী।