29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

৩৬ বছর পর ভারতের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জিতলো নিউজিল্যান্ড

বেঙ্গালুরু টেস্টে স্বাগতিক ভারতকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। এ জয়ের মাধ্যমে ৩৬ বছর পর ভারতের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জিতলো কিউইরা। ভারতের মাটিতে এর আগে নিউজিল্যান্ডের সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ জয়ের নজির ছিল ১৯৮৮ সালে।

প্রথম ইনিংসে ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়ে মাত্র ৪৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার বিপরীতে বড় লিড নেয় সফরকারীরা। প্রথম ইনিংসে রাচিন রবীন্দ্রের সেঞ্চুরির পাশাপাশি আরও দুই অর্ধশতকে ভর করে ৪০২ রানে থামে কিউইরা। জবাবে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬২ রান করে ভারত। জয়ের জন্য শেষদিনে কিউইদের করতে হত ১০৭ রান, হাতে ছিল ১০ উইকেট।

দিনের শুরুতে জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজরা সুইংয়ে কাবু করতে চেয়েছেন কিউই ব্যাটারদের। ২ উইকেটও তুলে নেন ৩৫ রানে। তবে বাকি পথ দেখেশুনে পার করেছেন উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্ররা। শেষ পর্যন্ত ইয়ং ৪৫ আর রাচিন ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে কিউইদের জয় নিশ্চিত করেছেন।

আগেরদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলা শেষ হয়ে যায় বৃষ্টির কবলে। ফলে আজ (রোববার) পঞ্চম দিনে কেমন রোমাঞ্চ অপেক্ষা করছে, তা দেখতে মুখিয়ে ছিলেন ক্রিকেটভক্তরা। তবে নিউজিল্যান্ড ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করে ভারতের আশা গুঁড়েবালি করে দেয়। অথচ দিনের দ্বিতীয় বলেই সফরকারী কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথামকে দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই লেগবিফোরের ফাঁদে ফেলেন বুমরাহ। ইনিংসের ১৩তম ওভারে তিনিই ফের দ্বিতীয় আঘাত হানেন ডেভন কনওয়েকে (১৭) ফিরিয়ে।

এরপর কোনো ঝুঁকি না নিয়েই ডানহাতি ব্যাটার ইয়ং ও আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান রাচিন সাবলীলভাবে জয়ের পথে এগিয়ে যান। ক্রিজে থিতু হয়ে তারা তৃতীয় উইকেট জুটিতে দ্রুত রান তুলেছেন। সে সময় কুলদীপ যাদব, সিরাজ ও রবীন্দ্র জাদেজারা সেভাবে তাদের সমস্যায় ফেলতে পারেননি। তিন ম্যাচের প্রথম টেস্ট জিতে তারা ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গেল।

এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৪৬২ রান করে। ১৭৭ রানের জুটি গড়েন সরফরাজ খান ও ঋষভ পান্ত। পান্ত ১০৫ বলে ৯৯ রানের ইনিংসে মেরেছেন ৯টি চার ও ৫টি ছয়। সরফরাজ আউট হওয়ার আগে ১৮টি চার ও ৩টি ছয়ে ১৯৫ বলে করেছেন ১৫০ রান। তাদের বিদায়ের পরই তাসের ঘরের ভেঙে পড়ে ভারতের ইনিংস। শেষ ৫৪ রানে পড়েছে ৭ উইকেট। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন ম্যাট হেনরি ও উইলিয়াম ও’রুর্ক।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন