পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ ১৩০ পরিবারের সদস্যদের চাকুরি, বিদ্যুৎ বিক্রির লভ্যাংশ প্রদান, বাড়ির দলিল হস্তান্তর সহ ৭ দফা দাবিতে মানব বন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা।
আজ বুধবার দুপুরে স্বপ্নের ঠিকানা আবাসনের বাংলাদেশ চায়না টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট স্কুল এর সামনের সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে তারা।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন ২০১৪ সালে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহনের সময় জমির তিনগুন মূল্য প্রদান, ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি প্রদান, উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রির ০.০৩ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান, জমি ও বাড়ির দলিল হস্তান্তরের আশ্বাস দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। জমি-জমা ঘরবাড়ি ও পেশা হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। স্বপ্নের ঠিকানায় তাদের যে ঘর দেয়া হযেছে তা এখন জরাজীর্ন। নেই বিশুদ্ধ পানির সংস্থান ও পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা। ফলে এখানে বসবাস করা তাদের জন্য দুরূহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বর্তমান বাজারে কর্মসংস্থান না থাকায় তারা অনাহার অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচী ঘোষনার হুসিয়ারী দেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোঃ আরেফিন ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের আস্বাস দেন।
তাদের ৭ দফা দাবি হলো
১. কোটায় নয় অগ্রাধিকারভিত্তিতে যোগ্যতা অনুযায়ী ১৩০ পরিবার থেকে ন্যূনতম একজনকে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডে (বিসিপিসিএল) সরাসরি স্থায়ী চাকরি দিতে হবে।
২. তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রতি ইউনিট বিক্রির শতকরা শূন্য দশমিক শূন্য তিন (০.০৩) পয়সা ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০ পরিবারকে বুঝিয়ে দিতে হবে।
৩. পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ভূমি অধিগ্রহণে মূল্যের চেয়ে তিন গুণ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ দেড় গুণ টাকা দেয়। এক্ষেত্রে বাকি দেড় গুণ টাকা সকল ভূমিদাতাদের বুঝিয়ে দিতে হবে।
৪. স্বপ্নের ঠিকানা আবাসন প্রকল্পের সবাইকে স্থায়ী দলিল আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে দিতে হবে।
৫. দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত প্রজেক্ট এমডি এ এম খোরশেদুল আলম, ওপিডি শাহ আব্দুল মাওলা হেলালকে পদত্যাগ করতে হবে ও প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিজেদের আত্মীয় ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত সকল কর্মকর্তাদের বাতিল ও অপসারণ করতে হবে।
৬. ১৩০ পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির ট্যাংক দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে হবে।
৭. সকল দাবি মেনে নেওয়ায় লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দাবিগুলো না মানলে কঠোর আন্দোলনে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।