বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবির ক্রীড়া উন্নয়ন কোচ সাবেক পাকিস্তানি লেগ স্পিনার শাহেদ মেহমুদ। বর্তমানে এ কোচের অধীনেই সারা দেশ থেকে লেগ স্পিনার খোঁজার বিশেষ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রায় ৮ মাস ধরে বিসিবির এ বিভাগে কাজ করছেন শাহেদ। ঢাকার ক্লাব ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই ক্রিকেটার দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশের প্রায় সব জেলার স্থানীয় কোচদের সহযোগিতা নিয়ে পরিচালনা করেছেন লেগ স্পিনার হান্ট।
বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ বলেছেন, সারা দেশ থেকে বাছাইকৃত বোলারদের নিয়ে মিরপুরের একাডেমি মাঠে ২ ও ৩ মে পরবর্তী ট্রায়াল হবে।
“লেগ স্পিনার নিয়ে অবশ্যই আমাদের বাড়তি চিন্তা আছে। (বিসিবির গেম) ডেভেলপমেন্টে শাহেদ মেহমুদ আছেন লেগ স্পিন কোচ হিসেবে। এরই মধ্যে আমরা অনেক লেগ স্পিনার নিয়ে ট্যালেন্ট হান্ট করেছি। ৮০ জনকে খুঁজে বের করেছি। শাহেদ বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে গিয়েছে। রংপুর, ফরিদপুর, রাজশাহী- সব জায়গায় গিয়ে কাজ করে ট্যালেন্টগুলো বের করে এনেছে।” “শিগগিরই আমরা দুই ভাগে ৪০ জন করে ৮০ জনের সঙ্গে ক্যাম্প শুরু করব। আগামী ২ ও ৩ মে এই ক্যাম্প হবে। সেখানে আমরা বাছাই করে এই ক্যাম্পটা আরও ছোট করব। পরে ২০ জনে এনে আমরা তাদেরকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করব।” যোগ করেন খালেদ।
স্পিনারদের সংখ্যা ২০ জনে নামিয়ে আনার পর তিন সপ্তাহের স্কিল ক্যাম্প করার পরিকল্পনা রয়েছে বিসিবির। যেখানে জাতীয় দলের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদকেও রাখতে চায় গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। পরে ওই স্কিল ক্যাম্প শেষে ১২ থেকে ১৫ জন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা করা হবে।
সারা দেশ থেকে এত সংখ্যক লেগ স্পিনার উঠে আসায় সন্তুষ্ট খালেদ মাহমুদ। তিনি বলেন, “আমাদের এখন অনেক লেগ স্পিনার উঠে এসেছে। আমি খুবই খুশি। আগে যথাযথ যত্নের অভাব ছিল।আমি খুব খুশি যে, মুশতাক (আহমেদ) ভাই আমাদের জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আমি মনে করি, উনি যদি বেশি সময় ধরে আমাদের সঙ্গে থাকেন, তাহলে এখান (লেগ স্পিন ক্যাম্প) থেকে বেশ কয়েকজন লেগ স্পিনার পাওয়া যাবে।”
২৭ এপ্রিল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান ও ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খালেদ মাহমুদ।