দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা তৈরি ও ড্রেনের কাজ চলমান রাখায় তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। জরুরি প্রয়োজনেও মিলছে না যানবহন। মিললেও দিতে হয় বাড়তি ভাড়া । তবে এলাকাবাসীর চাওয়া এবার অন্তত মুক্তি মিলবে তাদের, বদলাবে পরিস্থিতি।
উত্তর ও দক্ষিণখান ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত করে, ২০১৬ সালে এলাকাটিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্রপোরেশনের আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দেন তৎকালীন মেয়র আনিসুল হক । যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সেই সময় সাধুবাদ জানিয়েছিল রাজধানীবাসী ।
এরপর পেরিয়েছে অর্ধযুগের বেশি সময়। পালাবদল হয়েছে ক্ষমতার এসেছেন নতুন মেয়র, তবুও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি লেশমাত্র ।
এলাকাবাসী আগে ইউনিয়ন পরিষদে ভোট দিত, এখন দেয় সিটি করপোরেশনে এই বিষয়টি ছাড়া গেল আট বছরে দক্ষিণখানবাসীর দৃশ্যমান কোনো প্রাপ্তি আছে কি না, সেই সমীকরণের হিসাব মেলানো কঠিন।
দক্ষিণখান এলাকার চিত্র
দক্ষিনখান বাজার হতে চালাবন মাজাররোড পুরো সড়ক জুড়ে চলছে খুঁড়াখুড়ির কাজ । গত বছরের রমজান মাস থেকে শুরু হওয়া পিচ রাস্তার কাজ এখনও চলমান। প্রতিনিয়তই কোনো ধরনের যানবাহন ছাড়া প্রায় আধা কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের ।
এদিকে চলমান প্রকল্পের এই রাস্তার কাজ চলতি বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। যদিও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণে চলমান এই কাজ শেষ হতে সময় লাগছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ক্ষমতা যায়, ক্ষমতা আসে। সিটি করপোরেশনেও হয় রদবদল, শুধু বদলায় না এলাকাবাসীর ভাগ্যের চাকা, বদলায় না এলাকার রাস্তা ঘাট। তাদের চাওয়া এসব বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন অন্তবর্তী সরকার।
আজী/